আজ শনিবার কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আদার দাম ৪৬০ টাকা, পেঁয়াজ ৭৬ টাকা।
দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী প্রতিবাদ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: সিপিডি’র সুপারিশমালা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলা হয়।
রমজানে চাহিদার শীর্ষে থাকা পণ্যগুলো হলো- ছোলা, মসুর ডাল, মটর ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর।
গম আমদানি কমে যাওয়ায় আটার রুটি ও বিস্কুট তৈরিতে ইতোমধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির ব্যবহার কমে গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ছোলা, চিনি, বেসন, মসুর ডালসহ শুকনো বিভিন্ন পণ্যের দাম রমজান উপলক্ষে বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধি, ডলার সংকট ও ঋণপত্র (এলসি) খোলায় জটিলতার কারণে গত ১ মাসের ব্যবধানে গুঁড়া দুধের দাম ৫০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
‘বাজারে কোন জিনিসটার দাম নাগালের মধ্যে আছে সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। যারা বলেন জিনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে আছে তাদের মনে হয় বাজার থেকে কিছু কিনতে হয় না। বাড়িতে বসেই তারা সবকিছু পেয়ে যান।’
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারেও খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপণ্যের দাম ১০০ শতাংশ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। জ্বালানির দামও হয়েছে দ্বিগুণ।
পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিতে ১ থেকে ২ টাকা কমলেও খুচরা বাজারে অপরিবর্তিত আছে। আজ শনিবার কারওয়ান বাজার ও এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে চলে যাওয়ায় কম দামে ‘ফাটা ডিম’ কিনতে শুরু করেছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
'চালের দাম বেড়েছে, ডিমের দাম বেড়েছে, মাছের দাম-মুরগির দাম বেড়েছে। সব ধরনের সবজি এখন বাজারে ৬০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। চিনির কেজি ৮০ টাকা ছিল ১ মাস আগেও। এখন সেই চিনি ৯০ টাকা কেজি...
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার নিম্নবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষে বেশকিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পোশাক শ্রমিক আব্দুল মোমিন। কাজ করেন সাভারের একটি কারখানায়। সর্বসাকুল্যে বেতন পান ১২-১৩ হাজার টাকা। গত কয়েক মাস ধরে কারখানায় কাজ কম থাকায় ওভারটাইম হচ্ছে না। গত মাসে পারিশ্রমিক পেয়েছেন ১১ হাজার টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চাল চিকন করতে গিয়ে ছাঁটাই করে অপচয় করা হচ্ছে। এতে পুষ্টিমানও কমে যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে ৩ মাসে ৭ কোটি ১০ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে।
সম্প্রতি খাদ্যদ্রব্য ও অন্যান্য নিত্যপণ্যের পাশাপাশি টয়লেট্রিজ সামগ্রী ও ঘর পরিষ্কার রাখার উপকরণের দামও বেড়েছে। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সামনের মাসগুলোয় বৈশ্বিক খাদ্য সংকট হতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
বোরো মৌসুমে দামের ঊর্ধগতি নিয়ন্ত্রণ করে চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।