অস্থির বাজারে কিছুটা স্বস্তি

আজ প্রতি কেজি ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বার্মা আদা ১৫০ টাকায় এবং থাইল্যান্ডের আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
অস্থির বাজারে কিছুটা স্বস্তি
বাজারে সবজির দামে স্বস্তি দেখা গেছে। ছবি: সুমন আলী/স্টার

বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। দাম কিছুটা কমায় ক্রেতারাও স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।

কয়েকদিন ধরে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও আদার বাজারে অস্থিরতা ছিল। আজ শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা চড়া থাকলেও কমেছে আদার ও পেঁয়াজের ঝাঁঝ।

আজ প্রতি কেজি ইন্দোনেশিয়ার আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, বার্মা আদা ১৫০ টাকায় এবং থাইল্যান্ডের আদা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

পাইকারি আদা বিক্রেতা মো. জসিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদার আমদানি বাড়ায় বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। জাতভেদে প্রতি কেজি আদা আমরা ১২০ থেকে ১২৫ টাকায় বিক্রি করছি। খোলা বাজারে এই আদা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।'

ছবি: সুমন আলী/স্টার

আজ প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায় এবং ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। তবে কাঁচা মরিচের দাম এখনো তুলনামূলক বেশি। আজ প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায়।

মরিচ বিক্রেতা মো. নাজিম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেদিন ভারত থেকে মরিচের ট্রাক ঢুকে সেদিন দাম কেজিতে ৪০ টাকার মতো কমে আসে। কারণ সরবরাহ ভালো থাকে। আর ভারতের মরিচ না এলে সেদিন দাম কিছুটা বেড়ে যায়।'

আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪০-৫০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুমুখী ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৯০-১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ছবি: সুমন আলী/স্টার

তবে বাজারে টমেটোর দাম চড়া। প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টমেটো বিক্রেতা মো. রানা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাজারে এখন যেসব টমেটো পাওয়া যাচ্ছে তা ভারতে থেকে আমদানি করা। ভারতেই কেনা বেশি পড়ছে, তাই দামও বেশি।'

কারওয়ান বাজারে আজ সবজি কিনছিলেন শাহিদা বেগম। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন সবজি ও আদা-পেঁয়াজের দাম কমায় কিছুটা কিনতে পারছি। কিছুদিন আগে তো ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজিই পাওয়া যেত না। তখন কিনতাম আধা কেজি করে। তবে সবজির দাম কিছুটা কমলেও মাছ-মাংসের দাম একটু বেশি।'

বেসরকারি চাকরিজীবী বাচ্চু মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সবজির দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে আসলেও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম লাগামহীন। প্রতিনিয়তই শুধু বাড়ে। বাজার ব্যবস্থার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ থাকলে বাজার এতটা অস্থির থাকত না। আমরাও আরেকটু কম দামে সবকিছু কিনতে পারতাম।'

ছবি: সুমন আলী/স্টার

ব্রয়লার মুরগি নাগালের মধ্যে থাকলেও মাছ ও গরুর মাংসের দাম কিছুটা বেশি। আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি ৩২০ টাকা। মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৪০ টাকা এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

আজ কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকায়, পাঙাশ মাছ ২২০-২৪০, তেলাপিয়া মাছ ২০০-২৫০, ইলিশ মাছ আকার ভেদে ১ হাজার ২০০ থেকে ৩ হাজার, চিংড়ি মাছ ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০, পাবদা মাছ ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।

চালের বাজারেও অনেকটা স্বস্তি দেখা গেছে। আজ প্রতি কেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা এবং নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭২ থেকে ৮০ টাকায়।

চাল বিক্রেতা মো. সায়েম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দাম কমলেও চাল বিক্রি কমে গেছে। মাসের শুরুর দিকে একটু বিক্রি হয় তারপর সারা মাস তেমন একটা বিক্রি হয় না। ব্যবসারা পরিস্থিতি তেমন একটা ভালো না।'

Comments