‘যুক্তরাষ্ট্রে কম আয়ের ক্রেতাদের মধ্যে পোশাকের চাহিদা পুরোপুরি বাড়েনি।’
'বছর শেষে এর পরিমাণ ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে'
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে সাড়া পাওয়ায় আগামী মে থেকে দেশের পোশাক রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘গত বছরের তুলনায় মার্কিন ক্রেতারা এখন অনেক বেশি খোঁজ-খবর নিচ্ছেন,’
বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবরে বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে ১৭৮ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি ও চীন ১৫৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন কেজি পোশাক রপ্তানি করেছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হলো যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি বছরের নভেম্বরে রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ কমেছে।
‘আপাতত চিনির দাম কমানোর সুযোগ নেই।’
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেশটির বাজারে পোশাক রপ্তানিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি চলতি অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর বিশ্বের সব দেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হলেও, বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস রপ্তানি অব্যাহত ছিল। এখন রপ্তানি আরও বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি চলতি বছরের জানুয়ারি-আগস্টে গত বছরের তুলনায় ৫৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।