বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তে অংশীজনের মতামত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়াসহ ৫ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
অপরাজেয় বাংলার সমাবেশে নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিপীড়নের প্রতিবাদে ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করেন তারা।
‘কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে স্বৈরাচারী কায়দায় নারীর প্রতি অব্যাহত যৌন নিপীড়ন, সহিংসতা ও বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেওয়া হলে, সরকার ও সংশ্লিষ্টজনদের এর দায়ভার নিতে হবে।’
অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দৃশ্যমান কোনো সংস্কার হয়নি বলেও হতাশা প্রকাশ করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
এসময় তারা আদিবাসী শিক্ষার্থী-জনতার কর্মসূচিতে হামলা ও পুলিশি বলপ্রয়োগের ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান।
আগামীকাল সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণে বিক্ষোভ সমাবেশ
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতির মাধ্যমে সংগঠনটি এই দাবি জানায়।
এই ক্রান্তিকালে বর্তমান সরকারের নির্মোহ ভূমিকা পালন ও আশু পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।
‘ব্যস্ততার কারণে’ তাদের সঙ্গে দেখা করেননি ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
‘যেকোনো তরুণ প্রাণের, তার ভাষায় “অহেতুক মৃত্যু”ই বেদনাদায়ক ও নিন্দনীয়। কিন্তু তার এই পক্ষপাতে বোঝা যায়, তিনি সব নাগরিকের সরকারপ্রধান নন, কেবল তার নিজের লোকের জন্যই তার ভাবনা ও কার্যক্রম আবর্তিত।’
‘এসব ন্যক্কারজনক হামলার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসনকে যেভাবে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে, তা আমাদেরকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন স্কিম নামের এক নতুন ব্যবস্থা চালু করা সরকারের আর্থিক ঘাটতি পূরণ করার অন্যতম একটি কৌশল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের বিবৃতি
'বহিষ্কারাদেশটি যে প্রক্রিয়ায় কার্যকর করা হলো সেটিও বিস্ময়কর'
‘এই নির্বাচন বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতার নবায়ন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারবে না।’
শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক এই দাবি জানায়।
‘ক্ষমতাবানদের পক্ষে সহকর্মীদের শাস্তি দেওয়া নয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একাডেমিক স্বাধীনতা রক্ষা করাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’