দুটি নতুন প্রকল্পে ৬৫ কোটি ডলারের বেশি অর্থায়ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করছে বিশ্বব্যাংক ও সরকার।
‘যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায় না, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে এবং বাংলাদেশের মেগাপ্রকল্পগুলোকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছে।’
‘ভর্তি কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ব্যয় বৃদ্ধি।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘একইসঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়নে সার্বিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।’
ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটির গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস রিপোর্টে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালেও এই আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অর্থের বিনিময়ে ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারণা থেকে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করছে বিশ্বব্যাংক।’
‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি প্রমাণ করার একটি সুযোগও পাচ্ছে যে, তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র নির্বিচার ঋণ ব্যবসাতে সীমাবদ্ধ নয়।’
গত ১৮ মাসে উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি বাংলাদেশ। বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে অর্থনীতির এই দুই প্রধান সূচক।
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগ মোকাবিলার পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সাভার ও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব...
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রায় ৯ লাখ গ্রামীণ তরুণকে কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা হতে সহায়তা করতে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক।
‘আমাদের মূল লক্ষ্য দারিদ্র্য বিমোচন। আমরা প্রতিটি মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই।’
বাজেট ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ঋণ নেওয়ার চলমান ধারা মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বাড়াতে পারে এবং আগামী অর্থবছরে ডলার সংকট আরও বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারের ব্যাপক হারে ঋণ নেওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে মুদ্রাস্ফীতি ৯ শতাংশ থেকে কমেনি বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো অব্যবহৃত রয়েছে।
আশা করা হচ্ছে—এই ঋণ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তারুণ্য, পল্লী ও নগর অবকাঠামো এবং পানিসম্পদ উন্নয়ন খাতে ব্যবহার করা হবে। স্বাস্থ্যখাতের ২ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।
‘একনেকে অনুমোদনের পরই অর্থায়ন চুক্তি সই হতে পারে এবং প্রকল্পটি চূড়ান্তভাবে কার্যকর ঘোষণা করা যেতে পারে।’
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আমরা দেশটির আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে এর অগ্রগতিকে স্বাগত জানাই
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সুযোগ এবং খাপ খাইয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ইঙ্গিত দেয় এবং বাংলাদেশ কখনই তার ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়নি বা তথাকথিত 'ঋণের ফাঁদে' পড়েনি।’