মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে যে বৃষ্টিপাত হয়, সেটা অন্যান্য বছরের মতোই ছিল। তবে...
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে, শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
শহুরে একঘেয়ে জীবনে এক থালা খিচুড়ির বাইরে গিয়েও বর্ষা উপভোগ করা জরুরি।
‘আশা ছিল, এবারের আউশ ধান ঘরে তুলে পরিবারের খাবারের জন্য রেখে বাকি ধান বিক্রি করে ঋণ শোধ করব। তা আর হলো কই। সর্বনাশা বৃষ্টি সব স্বপ্ন ভাসিয়ে নিলো। আমি এখন দিশেহারা।’
ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগেও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ‘মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে জুলাই মাসে এমনিতেই বৃষ্টি হয়। আজও হচ্ছে এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়ছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ আজ বুধবার দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।
আগামী পরশু থেকেই বৃষ্টির প্রবণতা কমে আসবে এবং তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
‘এখন এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
‘ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে,’
জিইসি, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ ও বহদ্দারহাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাটে হাঁটু পানি। যাত্রীরা পানি ডিঙিয়েই কোনোভাবে চলাচলের চেষ্টা করছেন।
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
চার জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বিভাগে অন্তত ১৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
আজ ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে দেশের সর্বোচ্চ ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
৪ অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
লাচুং, লাচেনসহ উত্তর সিকিমের এই জায়গাগুলো পর্যটকদের খুবই প্রিয়। সেখানেই গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে বহু জায়গায় ভূমিধস দেখা দিয়েছে। বেইলি সেতু বন্যার পানির চাপে ভেঙে পড়েছে।
‘শনিবার রাত ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।’
এ ধরনের বিপর্যয় থেকে যন্ত্রগুলোকে বাঁচাতে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।