বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার তারিখ একদিন পিছিয়ে গেছে। আগামী সোমবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার তিনি দেশে ফিরবেন।
কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে তার গুলশানের বাসভবনে গিয়েছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান।
‘দীর্ঘদিনের নজিরবিহীন দুর্নীতি, গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে আমাদের নির্মাণ করতে হবে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
‘খালেদা জিয়া মুক্ত, মুক্ত মানুষকে কী করে মুক্তি দেবো!’
আজকে আমরা এখানে উনার সাথে দেখা করেছি। এটি পুরোপুরি সৌজন্যমূলক একটি সাক্ষাত ছিল। এখানে আমরা কোনো রাজনৈতিক আলোচনা করিনি।
‘তারা হয়তো ভেবেছিল, বেগম খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে দিলে বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্তের বাইরে আমরা কোনো কিছু করিনি।
‘নিষ্পত্তিকৃত দরখাস্ত পুনর্বিবেচনা করার কোনো অবকাশ আইনে থাকে না’
‘দেশে সব কাজই আইনের মাধ্যমে করতে হয়। আইনের বাইরে গিয়ে করলে সেটা খারাপ দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করেছেন।
তার সাজাটা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার পারমিশন দেওয়া হয়েছে এবং তার চিকিৎসার ব্যবস্থা; সে নিজেই চিকিৎসা নিচ্ছে এখন। বাংলাদেশের সব থেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
‘বিএনপি লড়াই করছে জণগণের মৌলিক অধিকারের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য, মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।’
‘ইট ইজ আ পাস্ট ট্রানজেকশন। আমার মনে হয়, আইনের সেই অবস্থান থেকে সরকারের আর কিছু করার নেই।’
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই আবেদন তারা প্রত্যেকবারই করেন—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকবারই তারা করেন। আমরা যতটুকু মঞ্জুর করতে পারি, ততটুকু মঞ্জুর করে দেই।’
‘আমরা যতই বলি আইন অনুযায়ী হয় না কিন্তু সরকার তো দিয়েছে! আমার মনে হয়, এটা সরকারের ব্যাপার এবং খালেদা জিয়ার পরিবার ও আইনজীবীর ব্যাপার।’
এটা হচ্ছে উইল অব দ্য হেড অব দ্য এক্সিকিউটিভ। আমরা এখানে সদিচ্ছা তো দেখছিই না, বরং ছলচাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে এক্সিকিউটিভের পক্ষ থেকে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, অমানবিক।
আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।