আদালতে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আইনমন্ত্রীর সাধুবাদ, প্রত্যাশা আন্দোলন প্রত্যাহার হবে

আদালতে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের আইনমন্ত্রীর সাধুবাদ, প্রত্যাশা আন্দোলন প্রত্যাহার হবে
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

কোটা নিয়ে বিচারাধীন মামলায় পক্ষভুক্ত হতে চাওয়ার শিক্ষার্থীরা সঠিক পথে হাঁটছেন মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যেহেতু তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমি আশা করব, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'শিক্ষার্থীরা এই মামলায় পক্ষভুক্ত হওয়ার জন্য আপিল বিভাগে দরখাস্ত করেছে এবং আগামীকাল বোধ হয় শুনানি হবে। আমি মনে করছি, তারা সঠিক পথে হাঁটছেন।'

তিনি বলেন, 'আমি যতদূর জেনেছি, যখন হাইকোর্ট বিভাগে এই মামলা চলে, তখন আজকে যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন তারা কিন্তু তাদের বক্তব্য আদালতের কাছে পেশ করার জন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করেননি। তাদের বক্তব্য সেখানে দেননি। তার পরে মামলাটার রায় হয়ে গেছে, মামলাটি এখন আপিল বিভাগে। সেখানেও গতকাল পর্যন্ত তাদের কোনো আইনজীবী ছিল না।

'ঘটনা ঘটছে আদালতে। রাজপথে আন্দোলন করে বা চেঁচামেচি করে বা বকা-বাদ্য করে এটার কিন্তু নিরসন হবে না। এটা করলে একটা পর্যায়ে হয়তো আদালত অবমাননাও হয়ে যেতে পারে। সঠিক জায়গা হলো, তারা যদি পক্ষভুক্ত হয়ে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। অবশ্যই আপিল বিভাগ সব পক্ষ শুনবেন এবং সব পক্ষ শুনে আপিল বিভাগ একটা ন্যায় বিচার করবেন। এটাই আমাদের আশা এবং আমার মনে হয় সেটাই হবে,' বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, 'আজকে আমি দেখছি, তারা একটা ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমি এটাকে সাধুবাদ জানাই। এখন তারা তাদের বক্তব্য আদালতে দেবেন। আমি আশা করব, যেহেতু তারা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।'

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আনিসুল হক বলেন, 'আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না, সেটা হচ্ছে যে—খালেদা জিয়া মুক্ত, এই মুক্ত মানুষকে কী করে মুক্তি দেবো আমি তো বুঝে উঠতে পারছি না!'

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago