আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে ভোক্তারা এখনো এর সুফল পাচ্ছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি ক্রয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৭ টাকা। আগের দাম ছিল ১৯২ টাকা। এই দাম ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (টিসিবি) ১৫৬ টাকা ৯৮ পয়সা দরে মোট ২ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমতি দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্যাকেটজাত চিনির দাম কেজিতে ১৩ টাকা বেড়ে ১০৮ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তেল পরিশোধনকারীদের প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়েছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন (বিটিসি)। এর ফলে আবারও বাড়তে পারে সয়াবিন তেলের দাম।
দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমানো হয়েছে। এতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম হবে ১৭৮ টাকা। বর্তমানে এই তেলের দাম ১৯২ টাকা।
ভোজ্যতেলের দাম কম রাখতে এর আমদানি ও পরিশোধনের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কম রাখার সিদ্ধান্ত আরও ৩ মাসের জন্য বাড়াতে পারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ২ দোকান থেকে মজুদ করা ৪ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
মানিকগঞ্জে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুদ ও বেশি মূল্যে বিক্রয়ের দায়ে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া করা হয়েছে।
ফরিদপুর সদরে গোডাউনে মজুদ করে রাখা ৪ হাজার লিটার বোতলজাত ও ৮০০ লিটার খোলা সয়াবিন তেল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীর গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করা ৩১ হাজার ৮ লিটার সয়াবিন তেলের (১৫২ ব্যারেল) সন্ধান পেয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অবৈধভাবে তেল মজুদের জন্য ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা...