সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেছেন।
দুই প্রতিষ্ঠানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সরবরাহ ঘাটতির কারণে ক্রেতারা সয়াবিন তেলের জন্য এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামীকাল ১০ জানুয়ারি দাম সমন্বয় করার কথা।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, তারা চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত বোতলজাত সয়াবিন তেল পাচ্ছেন না। অন্যদিকে সুপারস্টোরগুলোও ভোজ্যতেলের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বাংলাদেশ ভোজ্যতেল সমিতির সভাপতি মোস্তফা হায়দার নতুন দামের কথা জানান।
চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সবশেষ গত ১৮ এপ্রিল সয়াবিন তেল ও পাম তেলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছিল।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে যথাক্রমে প্রায় তিন থেকে ছয় টাকা ও পাঁচ টাকা বেড়েছে।
বর্তমান ১ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, নতুন দাম অনুযায়ী তা ১৭৪ টাকায় বিক্রি হবে।
চাহিদার শতভাগ সয়াবিন তেল প্যাকেটজাত করে বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি প্রস্তুত না থাকায় বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় ৬ মাস বাড়ানো হচ্ছে।
আমদানি করা ৪ হাজার ৭৮৮ ধরনের পণ্যের মধ্যে ২৫টি পণ্যের জন্য ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা।
শফিকুজ্জামান বলেন, 'প্রাথমিকভাবে শুধু সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রেও একই নিষেধাজ্ঞা আসবে।'
এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ৮ টাকা কমিয়ে ১৫৯ টাকা করা হয়েছে।
প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের আগে সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, রসুন, জিরাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমলেও দেশের বাজারে ভোক্তারা এখনো এর সুফল পাচ্ছে না।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সরকারি ক্রয় কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা কমছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮৭ টাকা। আগের দাম ছিল ১৯২ টাকা। এই দাম ১৮ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।