বন্ধের পথে ‘হাংরিনাকি’

বন্ধের পথে ‘হাংরিনাকি’
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে শুরুর দিকের ও দীর্ঘসময় ধরে চলা অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে অন্যতম 'হাংরিনাকি' বন্ধ হয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

গত বছর অপারেশন কমানো ও কর্মী ছাঁটাইয়ের পর প্রতিষ্ঠানটি 'ফুডপান্ডা' ও 'পাঠাও ফুডস'র মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। ব্যবসার পরিবেশ কঠিন হয়ে আসায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

২০১৩ সালে ৩ বাংলাদেশি বন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন 'হাংরিনাকি'। প্রতিষ্ঠার পর দেশের উদীয়মান খাদ্য সরবরাহের বাজারে তারা বেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলে। পরবর্তীতে দারাজ এই প্রতিষ্ঠানটিকে কিনে নেয়।

'হাংরিনাকি' কিনে নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ১০০টি এলাকায় সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করে দারাজ। কিন্তু, গত বছর এই সংখ্যা ১৫-তে নেমে আসে।

দেশে খাবার সরবরাহের বাজারে চরম প্রতিযোগিতা রয়েছে। যার ফলে ২০২০ সালে 'উবারইটস', ২০২১ সালে 'সহজ ফুড' বন্ধ হয়ে যায়।

এমনকি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির ফুড ডেলিভারি শাখা 'ই-ফুড'ও ২০২১ সালে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গেই বন্ধ হয়ে যায়।

এই সময়ের মধ্যে এমন আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চালু হলেও তাদের বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। অল্প যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এখনো তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে, তাদেরও মার্কেট শেয়ার খুব কম।

বর্তমানে, 'হাংরিনাকি' রাজধানীর হাতেগোনা কয়েকটি এলাকায় কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অংশীদার রেস্তোরাঁ ও ডেলিভারি কর্মীর সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে।

জানতে চাইলে দারাজের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহকদের জন্য একটি সুপার-অ্যাপ অভিজ্ঞতা তৈরি করতে দারাজ প্ল্যাটফর্মে 'হাংরিনাকি'কে একীভূত করার প্রক্রিয়া চলছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'হাংরিনাকিকে ভেঙে দারাজের বিভিন্ন বিভাগে একীভূত করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Govt employees protest at Secretariat May 2025

The right way to reform the public administration

Bangladesh needs a bureaucracy that serves its citizens with professionalism and integrity, not one driven by blind obedience.

10h ago