বাড়তে পারে আইফোনের প্রো মডেলের দাম

আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স ও ১৪ প্রো। ছবি: সংগৃহীত
আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স ও ১৪ প্রো। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাপল তাদের আইফোন প্রো মডেলের দাম বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। সেপ্টেম্বরে অ্যাপল তাদের পরবর্তী আইফোনের মডেলগুলো নিয়ে ঘোষণা দেওয়ার সময় থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে।

সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে। 

অ্যাপল সাধারণত প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে নতুন আইফোনের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে।

২০১৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি তাদের হাই-এন্ড আইফোন প্রো মডেলের দাম ৯৯৯ ডলার ও আরও বড় স্ক্রিনের ম্যাক্স মডেলের দাম ১০৯৯ ডলার ধার্য করছে। তবে শিগগির এই কাঠামোতে পরিবর্তন আসতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রো মডেলের দাম বাড়ানো হলে সার্বিকভাবে অ্যাপলের আয় বাড়বে।

করোনা মহামারি চলাকালীন সময়ে যন্ত্রাংশের স্বল্পতা ও মূল্যস্ফীতির কারণে আইফোনের উৎপাদন খরচ বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রে আইফোনের নতুন মডেলগুলোর দাম বাড়ায়নি অ্যাপল। যদিও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রায়ই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অ্যাপল তাদের পণ্যের দাম পরিবর্তন করে। গত বছর বাজারে আসা আইফোন ১৪ মডেলের ফোনগুলোর ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে।

আইফোনের পরবর্তী মডেলগুলোতে লাইটনিং চার্জারের পরিবর্তে বহুল প্রতীক্ষিত ইউএসবি-সি চার্জার সুবিধা যোগ করা হতে পারে। গত বছর ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি আইন পাশ হয় যেখানে বলা হয় ২০২৪ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিক্রি হওয়া সব ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে ইউএসবি-সি চার্জার থাকতে হবে। ফলে ইউরোপের বাজারে টিকে থাকতে হলে অ্যাপলকে বাধ্য হয়েই আইফোনে ইউএসবি-সি চার্জার যুক্ত করতে হবে। অ্যাপল অবশ্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই আইনের সমালোচনা করেছে। কিন্তু যেহেতু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই অ্যাপল হয়তো আইফোনের জন্য নতুন চার্জিং ব্যবস্থা চালু করতে বাধ্য হবে।

নতুন প্রো মডেলে টাইটানিয়াম কেস এবং আরও চিকন বেজেল ব্যবহার করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন আছে। 

স্মার্টফোন শিল্পে সাম্প্রতিক যে প্রবণতা চলছে, সে অনুসারে ফোনের দাম বাড়ানোর ফলে অ্যাপল বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্মার্টফোন বিক্রি কমছে। কিন্তু এখনো দামি ডিভাইস কেনার জন্য ক্রেতাদের চাহিদা আছে।

বিশ্লেষক সিডনি হো বলেন, 'বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের চাহিদা পুনরুদ্ধার প্রত্যাশার তুলনায় কম, কিন্তু মনে হচ্ছে অ্যাপলের মতো প্রিমিয়াম মার্কেটে তার বেশি প্রভাব পড়েনি।'

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

3h ago