আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে হাই রেজোলিউশনের ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে

কিছু টিপস অনুসরণ করে সহজেই আইফোন থেকে ছবি ও ভিডিওর মান অক্ষুণ্ণ রেখে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাঠানো যায়।
কিছু টিপস অনুসরণ করে সহজেই আইফোন থেকে ছবি ও ভিডিওর মান অক্ষুণ্ণ রেখে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাঠানো যায়। ছবি: সংগৃহীত
কিছু টিপস অনুসরণ করে সহজেই আইফোন থেকে ছবি ও ভিডিওর মান অক্ষুণ্ণ রেখে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাঠানো যায়। ছবি: সংগৃহীত

হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার বা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর সাহায্যে সহজেই ছবি বা ভিডিও অন্যজনকে পাঠানো যায়। কিন্তু অনলাইনে এসব অ্যাপের মাধ্যমে পাঠানো ছবির মান অনেকটাই কমে যায়। এটা একটা বড় সমস্যা।

তবে আইফোন ব্যবহারকারীদের এই সমস্যায় বেশি একটা পড়তে হয় না। এয়ারড্রপের মাধ্যমে মান অক্ষুণ্ণ রেখেই এক আইফোন থেকে আরেক আইফোনে সহজেই ছবি ও ভিডিও পাঠানো যায়। কিন্তু আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে অথবা দূরে থাকা অন্য কোনো আইফোনে ছবি পাঠাতে গেলে অনেক সময় বিপত্তি বাধতে পারে।

কিছু টিপস অনুসরণ করে সহজেই আইফোন থেকে ছবি ও ভিডিওর মান অক্ষুণ্ণ রেখে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাঠানো যায়।

ইমেইলের মাধ্যমে

ইমেইলের মাধ্যমে ছবি পাঠানো পুরনো হলেও এখনো কার্যকর। ছবি: সংগৃহীত
ইমেইলের মাধ্যমে ছবি পাঠানো পুরনো হলেও এখনো কার্যকর। ছবি: সংগৃহীত

আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইমেইলের মাধ্যমে ছবি ও ভিডিও পাঠাতে পারবেন। এতে ছবির মানও অক্ষুণ্ণ থাকবে। তবে এখানে সমস্যা হচ্ছে প্রতি ইমেইলে ফাইল সাইজের সীমাবদ্ধতা। যেমন- জিমেইলে প্রতি ইমেইলে ২৫ মেগাবাইটের বেশি ফাইল পাঠানো যায় না।

ফলে বড় ও হাই রেজোলিউশনের ভিডিও ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব হয় না। তবে ছোট ছোট ফাইল পাঠানোর ক্ষেত্রে ইমেইল খুব কার্যকরী উপায়।

ক্লাউড স্টোরেজ

ক্লাউড সেবা। ছবি: সংগৃহীত

যদি কাউকে বড় আকারের ফাইল পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তাহরে ক্লাউড স্টোরেজ সেবা ব্যবহার করতে পারেন। আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রেখে বড় আকারের ভিডিও ফাইল পাঠাতে এটি খুব কার্যকরী ও সহজ উপায়। ক্লাউড সেবার মাধ্যমে ফাইল পাঠালে ব্যাকআপও থাকে। ফলে ভুলবশত বা অন্য কোনো কারণে যদি আসল ফাইলটি ডিলিট হয়ে যায়, তাতেও ব্যাকআপ থেকে যায়।

গুগল ড্রাইভ, ড্রপবক্স এবং ওয়ান ড্রাইভের মতো বেশ কয়েকটি ক্লাউড সার্ভিস বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। এগুলোতে ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকেই প্রাপককে ইমেইল করে দেওয়া যায়। এক্ষেত্রে প্রাপক একটি স্টোরেজ লিংক পাবেন এবং সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট ফাইল ডাউনলোড করতে পারবেন।

জিপ ফাইল

জিপ করে ফাইল পাঠানোর প্রথা সেই ২০০০ এর দশক থেকে প্রচলিত। ছবি: সংগৃহীত
জিপ করে ফাইল পাঠানোর প্রথা সেই ২০০০ এর দশক থেকে প্রচলিত। ছবি: সংগৃহীত

আপনি যদি একাধিক ভিডিও বা বড় ফাইল পাঠাতে চান, তাহলে সেগুলোকে জিপ ফরম্যাটে সংকুচিত করে পাঠাতে পারেন। আইফোনের ফাইল অ্যাপ থেকে সরাসরি জিপ ফাইল তৈরি করা যায়। অথবা আপনি থার্ড পার্টি ফাইল কমপ্রেশন অ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন। 

ফটো এবং ভিডিও জিপ ফাইলে কমপ্রেস করার পরে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর কাছে ইমেল বা কোনও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই পাঠাতে পারেন। এই পদ্ধতিতে ফাইলের কোয়ালিটি অক্ষত থাকার পাশাপাশি একবারে অনেকগুলো ফাইলও পাঠানো সম্ভব।

ফাইল ট্রান্সফার অ্যাপ ব্যবহার করুন

ফাইল ট্রান্সফার অ্যাপ বেশ কার্যকরী। ছবি: স্টার অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ট্রান্সফার অ্যাপ বেশ কার্যকরী। ছবি: স্টার অনলাইন ডেস্ক

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস প্ল্যাটফর্মের মধ্যে সহজে ফাইল স্থানান্তরের জন্য একাধিক থার্ড পার্টি অ্যাপ পাওয়া যায়। সেন্ড এনিওয়ে, শেয়ারইট, জেন্ডারের মতো অ্যাপের মাধ্যমে খুব সহজেই আইফোন থেকে অ্যান্ড্রয়েডে বড় বড় ফাইল পাঠানো যায়। এসব অ্যাপ ব্যবহার করলে ছবি ও ভিডিওর মানও অক্ষুণ্ণ থাকে।

সেন্ড এনিওয়ে অ্যাপের মাধ্যমে কয়েক ভাবে ফাইল স্থানান্তর করা যায়। ৬ ডিজিটের কোডের মাধ্যমে, শেয়ারযোগ্য লিংক তৈরি করার মাধ্যমে কিংবা সরাসরি কাছাকাছি ডিভাইসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ফাইল স্থানান্তর করা যায়। যে ফাইলগুলো পাঠাতে চান, সেগুলো সিলেক্ট করে শুধু 'সেন্ড' বাটনে ক্লিক করলেই হবে।

যদি অনেক বড় ফাইল পাঠানোর প্রয়োজন হয়, তাহলে উইট্রান্সফার অথবা মিডিয়াফায়ার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপগুলোর সাহায্যে আপনার ডিভাইসে থাকা বড় আকারে ফাইলগুলো ক্লাউডে আপলোড করে বিশেষ লিংক তৈরি করা যায় এবং প্রাপককে সেই লিংকটি পাঠালেই তিনি ফাইলগুলো ডাউনলোড করতে পারেন। এই পদ্ধতিতেও ফাইনের মানের কোনো পরিবর্তন হয় না।

সূত্র: মেকইউজঅব

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments