স্মার্ট পার্কিং অ্যাপ ও কার্ড চালু করল ডিএনসিসি

গতকাল বুধবার গুলশান ২ এ অবস্থিত ডিএনসিসি’র নগর ভবনে এই পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।
ডিএনসিসির স্মার্ট পার্কিং অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত
ডিএনসিসির স্মার্ট পার্কিং অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার বেশিরভাগ অংশে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ না করে গাড়ি পার্কিং করার জায়গা খুঁজে পাওয়া বেশ ঝামেলার। এই সমস্যা সমাধানে 'ডিএনসিসি স্মার্ট পার্কিং অ্যাপ' নামে একটি নতুন অ্যাপ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

গতকাল বুধবার গুলশান ২ এ অবস্থিত ডিএনসিসি'র নগর ভবনে এই পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

কর্তৃপক্ষের জানিয়েছে, এই স্মার্ট অন-স্ট্রিট পার্কিং ব্যবস্থার মাধয়মে পরিবহন মালিকরা কাছাকাছি অবস্থিত পার্কিং স্পেসগুলো চিহ্নিত করতে পারবেন, আগাম বুকিং দিতে পারবেন এবং তাদের মোবাইল ডিভাইসে মাত্র কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই সবধরনের পেমেন্ট করতে পারবেন।

অ্যাপটি যেভাবে কাজ করে

গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। অ্যাপটি ওপেন করার পর অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য 'ক্রিয়েট অ্যান অ্যাকাউন্ট' অপশন পাওয়া যাবে। ওটিপি যাচাইয়ের পর নিজের ব্যক্তিগত তথ্য ও গাড়ি বিষয়ক তথ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে ব্যবহারকারীরা পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন। চালকদের সড়কের পাশে সাদা দাগ দেওয়া নিদ্দিরষ্ট পার্কিং এর জায়গায় গাড়ি পার্ক করতে হবে। ৬০ ডিগ্রি কোণে অথবা সমান্তরালভাবে গাড়ি পার্কিং করা যাবে। অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা স্মার্ট পার্কিং কার্ড দিয়ে পার্কিং যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

নিবন্ধনের পর যা করবেন

নিবন্ধনের পর অ্যাপটি ওপেন করে আপনার পছন্দের সড়ক বাছাই করুন। 'পার্কিং' লেখা বাটনে চাপ দিয়ে আপনার পছন্দের পার্কিং অবস্থান ও কত সময়ের জন্য পার্কিং করবেন, সেটা নির্বাচন করুন। এরপর অ্যাপ আপনাকে পার্কিং এর ফিস দেখাবে, যা নানা অনলাইন পেমেন্ট প্রক্রিয়ায় পরিশোধ করা যাবে। পেমেন্ট সফল হলে পার্কিং সেবা চালু হবে।

স্মার্ট পার্কিং কার্ড পদ্ধতি

অ্যাপের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারকারীরা 'স্মার্ট পার্কিং কার্ডের' সুবিধাও নিতে পারেন। এই কার্ডগুলো রাস্তায় থাকা ওয়ার্ডেন বা ইসলামী ব্যাংকের গুলশান, বনানী শাখা থেকে সংগ্রহ করা যাবে। প্রথমবারের মতো এই স্মার্ট পার্কিং কার্ডটিতে ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করে নিতে হবে ইসলামী ব্যাংক গুলশান, বনানী শাখা থেকে। দ্রুত সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে ইসলামী ব্যাংকের শাখা থেকে নিবন্ধিত স্মার্ট পার্কিং কার্ডে কিছু টাকা রিচার্জ করে রাখতে হবে।

গাড়ি পার্কিং করার পর স্মার্ট পার্কিং কার্ডটি ওয়ার্ডেনক দিতে হবে এবং জানাতে হবে কত ঘণ্টা পার্কিং করা হবে। সে অনুযায়ী ওয়ার্ডেন পিওএস মেশিনের মাধ্যমে স্মার্ট পার্কিং কার্ড থেকে গাড়ির পার্কিং পেমেন্ট সংগ্রহ করবেন এবং একটি রসিদ দেবেন।

ঢাকায় গাড়ি পার্কিং সমস্যার যেনো কোনো শেষ নেই। ছবি: স্টার
ঢাকায় গাড়ি পার্কিং সমস্যার যেনো কোনো শেষ নেই। ছবি: স্টার

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য উন্নত দেশগুলোর আধুনিক পার্কিং ব্যবস্থাপনার মতো প্রক্রিয়া দেশেও চালু করা। বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত কিছু সড়কে এই সেবা পাওয়া যাবে।

ডিএনসিসি ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে এই সেবার মান সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যবহারকারীদের মতামতের ভিত্তিতে সেবার মান আরও উন্নত করা হবে বলে উপস্থিত বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

নাগরিকদের এই সেবা সম্পর্কে ফেসবুক পেজইমেইলের মাধ্যমে তাদের মতামত জানানোর অনুরোধ জানায় ডিএনসিসি।

ইংরেজি থেকে ভাবানুবাদ করেছেন অনিন্দিতা চৌধুরী

 

Comments