নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ৬৮ লাখ বাংলাদেশি ‘টিকটক ভিডিও’ ডিলিট

টিকটকের নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণেই মূলত এই ভিডিওগুলো ডিলিট হয়েছে।
টিকটক লোগো ও কিবোর্ড। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স
টিকটক লোগো ও কিবোর্ড। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

ছোট দৈর্ঘ্যের ভিডিও দেখার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিকটক জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বাংলাদেশ থেকে আপলোড করা ৬৮ লাখ ৩৯ হাজার ১৩৪টি ভিডিও মুছে দেওয়া হয়েছে।

টিকটকের নীতিমালা লঙ্ঘনের কারণেই মূলত এই ভিডিওগুলো ডিলিট হয়েছে।

চীনের এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে ভিডিও মুছে ফেলার হার বেড়েছে। জানুয়ারি-মার্চ মাসে ৪২ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৩টি ভিডিও ডিলিট করেছিল টিকটক।

টিকটকের প্রকাশিত সর্বশেষ 'কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট' প্রতিবেদন অনুযায়ী, নীতিমালা লঙ্ঘন করায় বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৭৬ হাজার ৩২টি ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মটিতে আপলোড করা ভিডিও ০.৭ শতাংশ। মুছে ফেলা ভিডিওগুলোর মধ্যে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫টি ভিডিও টিকটকের স্বয়ংক্রিয় বাছাই প্রক্রিয়ায় মুছে ফেলা হয়েছিল।

পরবর্তী পর্যায়ের নিরীক্ষার পর ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ২টি ভিডিও আবারও টিকটকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। 

দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত যেসব ভিডিও মুছে ফেলা হয়েছে, তার ৮৯ শতাংশই কোনো দর্শক দেখার আগেই মুছে ফেলা হয়েছে, আর ৯৪ দশমিক ৭ শতাংশ ভিডিও আপলোড করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে।

টিকটকের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যবহারকারীর বয়স ১৩ বছরের কম থাকায় বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৮৮ লাখ ২৩ হাজার ৪০টি অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলা হয়েছে।

টিকটক ব্যবহারের অন্যতম প্রধান শর্ত হল, ব্যবহারকারীর বয়স ১৩ বছরের বেশি হতে হবে।

কম বয়সীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানায় টিকটক।

ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল

Comments