টিকটক মিউজিক কি পরবর্তী বৃহত্তম পডকাস্ট প্ল্যাটফর্ম?

তরুণ প্রজন্মের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টিকটক। অবসর কাটানোর অন্যতম এ মাধ্যমটি  সংগীতপ্রেমীদের জন্য এবার নিয়ে আসছে মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘টিকটক মিউজিক’। 
ছবি: রয়টার্স

তরুণ প্রজন্মের কাছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয়তা লাভ করেছে টিকটক। অবসর কাটানোর অন্যতম এ মাধ্যমটি  সংগীতপ্রেমীদের জন্য এবার নিয়ে আসছে মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ 'টিকটক মিউজিক'। 

সম্প্রতি প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান 'বাইটড্যান্স'-এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, টিকটক মিউজিকের মেধাস্বত্ব পাওয়ার জন্য চলতি বছরের মে মাসে চীনা প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স ইউএস প্যাটেন্ট অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অফিসে আবেদন করেছে।  

ছোট আকারের ভিডিও তৈরি এবং শেয়ারের মাধ্যমে জনপ্রিয় তারকা হওয়ার সহজ মাধ্যম হিসেবে টিকটকের জুড়ি নেই বললেই চলে। সাম্প্রতিকালের টিকটক মিউজিক অ্যাপের মাধ্যমে মিউজিক এবং ভিডিও তৈরি ছাড়াও পডকাস্ট ও ডিজিটাল রেডিও কনটেন্ট তৈরি করা যাবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

দ্য ইনসাইডার-এর প্যাটেন্ট রিপোর্টস থেকে জানা যায়, অন্যান্য মিউজিক অ্যাপের মতো টিকটক মিউজিক অ্যাপে থাকবে গান শোনার সুবিধা, পছন্দের গান ডাউনলোড করার পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করার অপশন। 

এ ছাড়া ব্যবহারকারীরা নিজস্ব প্লে লিস্ট তৈরি করে রাখতে পারবেন। শুধু তাই নয়, মিউজিকে কমেন্ট করা, অডিও এবং ভিডিও লাইভ স্ট্রিমিং করার সুবিধাও পাওয়া যাবে এতে। 

তবে, এটি টিকটকের প্রথম মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ নয়। ২০২০ সালে রেসো নামের অ্যাপ বাজারে আনে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স। টিকটক ভারতে নিষিদ্ধ হলেও রেসো ব্যবহার করতে কোনো বাধানিষেধ আরোপ করা হয়নি। ২০২১ সালের একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারত, ব্রাজিল ও ইন্দোনেশিয়ায় এটির ৪ কোটি ব্যবহারকারী ছিল। 

অর্থাৎ, টিকটকের মতো মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপও জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলে ধারণা করা যায়। যা ক্ষেত্রবিশেষে স্পটিফাই, আমাজন, গানা ও অ্যাপলের মতো মিউজিক অ্যাপকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

 

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ, ইনসাইডার  

গ্রন্থনা: আসরিফা সুলতানা রিয়া   

 

Comments