জাপানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে বিধিনিষেধ

ছবি: রয়টার্স

জাপানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এই বিষয়ে শিক্ষকদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, এর ফলে তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি আছে।

আজ রোববার এশিয়া নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাপানের সোফিয়া বিশ্ববিদ্যালয় গত ২৭ মার্চ তাদের ওয়েবসাইটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের 'চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য এআই চ্যাটবট' ব্যবহারের ওপর নতুন করে গ্রেডিং পলিসি প্রকাশ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'প্রশিক্ষকের অনুমতি ছাড়া কোনো অ্যাসাইনমেন্ট যেমন- কোনো পেপারের প্রতিক্রিয়া, রিপোর্ট ও অন্যান্য একাডেমিক কাজে চ্যাটজিপিটি ও অন্যান্য এআই চ্যাটবটে দিয়ে তৈরি টেক্সট, কোনো কোড বা হিসাব ব্যবহারের অনুমতি নেই। যদি এমন কিছু শনাক্ত করা যায় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

মার্কিন স্ট্যার্টআপ ওপেন এআই গত নভেম্বরে চ্যাটজিপিটি বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। বর্তমানে বিশ্বে ১০ কোটির বেশি মানুষ চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করছে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে এআই ব্যবহার নিষিদ্ধ করা সম্ভব নয়, তাই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রাথমিকভাবে একাডেমিক কাজে এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ করতে সতর্ক করেছে।

টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় ৩ এপ্রিল তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে 'অ্যাবাউট জেনারেটিভ এআই' শিরোনামে একটি নথি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, 'প্রতিবেদন অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নিজেদের তৈরি করতে হবে। শুধু এআই-এর সাহায্যে তৈরি করা যাবে না।'

এআই-জেনারেটেড কাগজপত্রে অনেক সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট নাগাহিরো মিনাতো বলেন, 'লেখালেখির জন্য প্রচুর শক্তি লাগে, তবে এটি আপনাদের মানসিকতা ও চিন্তা করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।'

শিক্ষকদেরও এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

টোহোকু বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এআই ব্যবহারের বিষয়ে একটি নোটিশ দিয়েছে এবং কীভাবে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয় ও পরীক্ষা পরিচালনা করা হয় তা পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুষদগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে। অনুশীলন ও প্রতিবেদন নির্ধারণের আগে এআই কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা পরীক্ষা করা এবং শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে লিখতে হবে এমন একটি পরীক্ষার ধরন নির্ধারণ করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

উচ্চশিক্ষায় বিশেষজ্ঞ সুকুবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোতোহিসা কানেকোর মতে, 'এটি নিশ্চিত করা কঠিন যে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রবন্ধ লেখার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকা এআই ব্যবহার করবে না। শিক্ষার্থীদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর তাদের মৌখিক পরীক্ষার বিষয়ে ইন্সট্রাক্টরদের আরও সৃজনশীল হতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Housing, food may top the manifestos

Panels contesting Ducsu election are signalling key reform priorities in their upcoming manifestos

11h ago