মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে লক হচ্ছে ৭ হাজার রেডিট কমিউনিটি

মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করায় লক হচ্ছে ৭ হাজার রেডিট কমিউনিটি

অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) ডেটা সংগ্রহের ক্ষেত্রে জোরপূর্বক মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাবরেডিট নামে পরিচিত প্রায় ৭ হাজারেরও বেশি রেডিট কমিউনিটি লক বা প্রাইভেট হচ্ছে।

লক করা এসব সাবরেডিটগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা করলে একটি বার্তা উঠে আসে। সেখান বলা হয়, 'ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করে এমন এপিআই ফি'র সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায় এই কমিউনিটিটি প্রাইভেট করা হয়েছে। তবে শুধু অনুমোদিত সদস্যরা লক করা সাবরেডিটের ডিসকাশন দেখতে এবং অংশ নিতে পারবেন।

চলতি বছরের এপ্রিলে কোম্পানিটি রেডিট ওয়েবসাইটে এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) অ্যাক্সেসের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ডেভেলপারদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জনায়। এপিআই সাধারণত চ্যাটজিপিটি বা নির্দিষ্ট এআইভিত্তিক অ্যাপের মতো এআই চ্যাটবটগুলোতে লার্জ-ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম) প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয়। 

রেডিটের নতুন নিয়মটি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নতুন এই নিয়ম অনুসারে, প্রতি ১ হাজার এপিআই কলের জন্য রেডিট ব্যবহারকারীদের শূন্য দশমিক ২৪ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে। এআই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি নতুন ডেটা রিকোয়েস্টের জন্য একটি এপিআই কল করা হয়। তবে রেডিট বলছে, কোনো অ্যাপ যদি প্রতি মিনিটে ১০০-এর কম কল করে, তাহলে সেটি বিনা খরচে এপিআই অ্যাক্সেস করতে পারবে।

যদিও আপাতদৃষ্টিতে এই টাকার পরিমাণ প্রথমে খুব বেশি মনে নাও হতে পারে। তবে, প্রতি ১ হাজার কলে এই শূন্য দশমিক ২৪ মার্কিন ডলার এক সময় একটি বড় সংখ্যায় গিয়ে ঠেকতে পারে। বিশেষ করে ডেভেলপারদের জন্য যারা তাদের এআই অ্যাপ চালানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে ডেটা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। 

থার্ড-পার্টি অ্যাপ যেমন, রেডিট ইজ ফান এবং অ্যাপোলো ব্যবহারকারীদের ভালো অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য রেডিট এপিআই ডেটা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। ধারণা করা হয়, নিয়মটি কার্যকর হলে এদের বছরে মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত জমা দিতে হতে পারে।

লক করা এসব সাবরেডিটগুলোর অনেকের মতে, অ্যাপ ডেভেলপারদের ওপর এই বাধ্যতামূলক ফি সরাসরি ব্যবহারকারীদের ক্ষতি করবে। ওপেনএআই-এর মতো বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে ছোট ছোট ডেভেলপারদের ওপরও এর প্রভাব পড়বে।

ডাউনডিটেক্টর ডট কম-এর মতে, রেডিট ১২ জুন প্রায় ২ ঘণ্টা একটি বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই হাজার হাজার সাবরেডিট একসঙ্গে ডাউন হওয়ার কারণে এটি হয়।

অন্যদিকে, রেডিটের সিইও এবং সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ হাফম্যানের সাম্প্রতিককালে পাঠানো কোম্পানির একটি চিঠি অনুসারে, কোম্পানিটি তাদের মোট কর্মীর ৫ শতাংশকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনাও করছে।

অনুবাদ: আহমেদ বিন কাদের অনি

 

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

6h ago