ইউটিউবের সিইও কে এই নীল মোহন
ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুসান ওজস্কি পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নীল মোহন।
গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে ৫৪ বছর বয়সী সুসান ওজস্কি লিখেন, পরিবার, নিজের স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত কাজে মনোযোগ দিতে ৯ বছর পর তিনি ইউটিউবের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে নীল মোহনের প্রসঙ্গ টেনে ইউটিউব কর্মীদের উদ্দেশ্যে সুসান ওজস্কি বলেছেন, 'আমাদের পণ্য, ব্যবসা, প্রতিষ্ঠাতা, ব্যবহারকারী ও কর্মীদের জন্য তার চমৎকার একটি চেতনাবোধ রয়েছে। নীল ইউটিউবের দুর্দান্ত এক নেতা হবেন।'
এর প্রতিক্রিয়ায় সুসান ওজস্কির প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে নীল মোহন বলেন, 'এত বছর ধরে আপনার সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আশ্চর্যের। কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ভিউয়ারদের জন্য ইউটিউবকে আপনি একটি অসাধারণ হোমগ্রাউন্ড বানিয়ে দিয়েছেন। আমি এই দুর্দান্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ মিশন চালিয়ে যেতে উন্মুখ হয়ে আছি। সামনে কী আছে তা দেখার অপেক্ষায়...'
একনজরে নীল মোহন
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু জানায়, নীল মোহন একসময় মার্কিন বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডাবলক্লিকে কাজ করতেন। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠানটিকে গুগল কিনে নিলে সেখানে চলে যান তিনি। গুগলের ডিসপ্লে ও ভিডিও বিজ্ঞাপন দেখাশোনার দায়িত্বে থাকাবস্থায় ২০১৫ সালে তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান পণ্য কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। এরপর থেকেই তিনি গুগলের যাবতীয় পণ্য তত্ত্বাবধানের পাশাপাশি ইউএক্স টিমগুলোর সঙ্গে কাজ করে আসছিলেন।
এ ছাড়াও, ইউটিউব ট্রাস্ট ও সেফটি টিমের পাশাপাশি ইউটিউব টিভি, ইউটিউব মিউজিক এবং প্রিমিয়াম ও শর্টস চালুর নেতৃত্বে ছিলেন তিনি।
স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে স্নাতক এবং স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে জেনারেল ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন নীল মোহন। ২ দশকের বেশি সময়ের কর্মজীবনে তিনি আইরিশ-আমেরিকান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাকসেঞ্চার এবং মাইক্রোসফটের একাধিক পদে কাজ করেছেন।
নীল মোহন পার্সোনাল স্টাইলিং কোম্পানি স্টিচ ফিক্স, জিনোমিক্স এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ২৩অ্যান্ডমির পরিচালনা পর্ষদেও আছেন। তিনি মার্কেটিং ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এমএমএ গ্লোবাল এবং ইন্টারেক্টিভ অ্যাডভার্টাইজিং ব্যুরোর (আইএবি) বোর্ড সদস্য। এ ছাড়াও, তিনি ফরেন রিলেশনের কাউন্সিল সদস্য এবং স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য।
Comments