‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়স বৃদ্ধির দাবি যৌক্তিক, পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত হবে’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ। ছবি: আনিসুর রহমান

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে এ সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। 

তিনি বলেছেন, 'বয়স বৃদ্ধি করার যৌক্তিকতা আছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।'

তবে বয়স বাড়িয়ে কত করা হবে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মুয়ীদ চৌধুরী। 

তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু আজ বলতে পারছি না। আমরা সবকিছু পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবো।'

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে আজ বুধবার দুপুরে বৈঠক করেন আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি তার অবস্থান তুলে ধরেন। 

তিনি জানান, আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি বয়সসীমার বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। 

তিনি বলেন, 'চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছর পর্যন্ত সুযোগ চান।'

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য সাধারণ প্রার্থীদের ৩০ বছর এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনীদের জন্য ৩২ বছর নির্ধারণ করা আছে।

মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, 'আমাদের কমিটির প্রধানত একটাই ফোকাস চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পর্যালোচনা করা। অনেকদিন ধরে একটি আন্দোলন চলছে। তার ভিত্তিতে সরকার আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছে।'

'সরকারের বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও সার্বিক পরিস্থিতির আলোকে সবকিছু চিন্তা করে আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করি এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দিতে পারব,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

15h ago