ক্যাম্পাস

স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ বন্ধের দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।
ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে স্পোর্টস কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই হলের শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে 'পরিবেশের ক্ষতি করে এ কেমন উন্নয়ন', 'সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে চাই না, অক্সিজেন চাই', 'উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংসের পরিকল্পনা বন্ধ কর', 'যারা গাছ কেটে পরিবেশের ক্ষতি করছে, তারা খুনি', 'সাঁতার নয়, পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই' লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।

মানববন্ধনে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমুন ইসলাম বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে একটি সুইমিং পুল আছে৷ সেটাকে ফেলে রেখে টাকা নষ্ট করে নতুন স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সুইমিং পুলের কী প্রয়োজন? আগের সুইমিং পুল মেরামত করলেই হয়। স্পোর্টস কমপ্লেক্স বানাতে গিয়ে মীর মোশাররফ হলের বাইপাস সড়ক অদৃশ্য করে ফেলা হয়েছে।'

উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী উৎপল কুমার রায় বলেন, 'এ নির্মাণকাজ একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। সবুজ ক্যাম্পাস হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা পরিচিতি আছে। গাছপালা এখানকার পরিবেশের সৌন্দর্য নির্দেশ করে। কিন্তু উন্নয়নের নামে অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে৷ আমাদের একটাই দাবি, অবিলম্বে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হোক।'

দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ বলেন, 'ক্যাম্পাসের এত জায়গা আছে, একটি সুইমিংপুল আছে যেটিকে সংস্কার করা সম্ভব, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের একটি আলাদা ভবন আছে, সেটিকে সম্প্রসারণ করা যায়- কিন্তু এ সব না করে হলের কোল ঘেঁষে আরেকটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই অনিয়ম চলতে পারে না।'

অবিলম্বে নির্মাণকাজ বন্ধ করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমকে মোবাইলে কল করা হলে তারা কল ধরেননি।

এর আগে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরাও। জাবির একমাত্র অস্থায়ী মন্দির চত্বরের বড় একটি জায়গাজুড়ে এই স্পোর্টস কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থায়ী মন্দিরের স্থান নির্বাচন নিয়ে রয়েছে নানা জটিলতা। এসব জটিলতা নিরসন না করেই অস্থায়ী মন্দিরের জায়গায় ১১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরু হয়। 

  

Comments