ভর্তি পরীক্ষার সম্মানীর অংশ নিলেন না জাবি উপাচার্য

জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা থেকে উপাচার্যের সম্মানীর একটি বড় অংশ নিচ্ছেন না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলম।

আজ বুধবার বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কম্পট্রোলার মো. মোসানুল কবীর।

তিনি বলেন, 'উপাচার্য ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা থেকে যে সম্মানীটা পাওয়ার কথা তার একটা বড় অংশ নেননি।'

উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ড. নুরুল আলম কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, 'আমি এ বছর ভর্তি পরীক্ষার সম্মানী হিসেবে আসা টাকা থেকে একটা বড় অঙ্কের টাকা নেইনি।'

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা থেকে শিক্ষকরা বড় অংকের সম্মানী নেন বলে অভিযোগ আছে।

এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের (উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয় ও কোষাধ্যক্ষ) ৩ হাজার টাকা করে ৪৬ শিফটের জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা করে এবং জাহাঙ্গীরনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকদের ১ হাজার ৫০০ টাকা হারে ৪৬ শিফটের জন্য সর্বোচ্চ ৬৯ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে উপাচার্য ৩ লাখ টাকা, ২ উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, সব অনুষদের ডিন ও ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রত্যেকে পেয়েছেন ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শিক্ষক ও প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তারা প্রত্যেকে পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরীক্ষা আয়োজনে ব্যয় হয় ১০ কোটি ২১ লাখ টাকা। বাকি ৮ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

3h ago