দ্বিতীয় দিনেও অবরুদ্ধ মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ছবি: স্টার

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেনকে দ্বিতীয় দিনের মতো তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধে করে রাখা হয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণিতে এডহক ভিত্তিতে কর্মরত ২২ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনেও তিনি তালাবদ্ধ অবস্থায় তার কার্যালয়ে রয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৩০ অক্টোবর তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সেখানে চাকরি স্থায়ীকরণসহ ১৪ দফা দাবি জানান তারা। স্মারকলিপি দেওয়ার পরেও ২ নভেম্বর কেয়ারটেকার পদের নিয়োগ বোর্ড রাখায় তারা উপাচার্যের কার্যালয় তালাবদ্ধ করেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি এস. এম. মাহফুজুর রহমান বলেন, 'তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী সমিতির কার্যকরী পরিষদের ৩৯তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৩য় শ্রেণির সব সদস্য কর্মবিরতি পালন করবেন। তবে অ্যাম্বুলেন্স, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট ও জরুরি সেবা চালু থাকবে। এ ছাড়া অন্যান্য সব পরিবহন সেবা বন্ধ থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, 'আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতিও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, অভ্যন্তরীণ রিজেন্ট বোর্ড সদস্য, ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, সিনিয়র শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।

টেলিফেনে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৫টি পদের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই সার্কুলার হয়ে গেছে এবং বাকি ৭টি পদের ব্যাপারে ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন) ৭ দিনের সময় চেয়েছে।'

তিনি বলেন, 'ইউজিসির চেয়ারম্যান নিজে ফোনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপরও তাদের এমন আচরন অযৌক্তিক। এতে আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। এটি আমার প্রতি অবিচার।'

আজ বিকেল ৪টায় এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত উপাচার্য তার কার্যালয়ে তালাবদ্ধ ছিলেন।

উল্লেখ্য, বিগত উপাচার্যের সময় এই ২২ কর্মচারীকে তৃতীয় শ্রেণিতে এডহক ভিতিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই সময় ব্যাপক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Is the govt backing the wrongdoers?

BNP acting Chairman Tarique Rahman yesterday questioned whether the government is being lenient on the killers of a scrap trader in front of Mitford hospital due to what he said its silent support for such incidents of mob violence.

8h ago