এবার পবিপ্রবির রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি

৬ দফা দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের অষ্টম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. কামরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
৬ দফা দাবিতে গত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এ আন্দোলন অষ্টম দিনে গড়িয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

৬ দফা দাবিতে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাগাতার কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘটের অষ্টম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. কামরুল ইসলামের অপসারণ দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।

আজ সোমবার দাবি আদায়ে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এই দাবি তোলা হয়।

৬ দফা দাবিতে গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশ ও কর্মচারীদের ২টি সংগঠন। পরে তারা বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা দেন। এমন পরিস্থিতিতে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার সকালে অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক ওয়াজকুরুনী, সাবেক সভাপতি ড. আরিফ আহমেদ জুয়েল এবং কর্মচারি পরিষদের সভাপতি মজিবুর রহমান মৃধা ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারি পরিষদ সভাপতি শাহাদাত হোসেন পিয়েল প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে তারা তাদের আগের ৬ দফা দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অপসারণের দাবিটিও জুড়ে দেন।

এর আগে গতকাল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রায় ৪ ঘণ্টা বৈঠক করেন উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।

বৈঠক শেষে অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েল সাংবাদিকদের বলেন, 'কর্তৃপক্ষ কিছু দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলেও এখতিয়ার বহির্ভূত বিষয়গুলোর জন্য সময় চেয়েছে।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণের দাবির প্রসঙ্গে রেজিস্ট্রার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, 'তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে এ বিষয়টি ছিল না। বর্তমানে যারা এই দাবিটি করেছেন, তারা হয়তো কারও স্বার্থসিদ্ধির এটা করছেন।'

Comments