নির্যাতনের বর্ণনা দিলেন ইবি শিক্ষার্থী, পুলিশ পাহারায় ক্যাম্পাস ত্যাগ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নির্যাতনের' শিকার সেই শিক্ষার্থী দুটি তদন্ত কমিটির কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আজ শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির সদস্যরা তার বক্তব্য গ্রহণ করেন।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে 'নির্যাতনের' শিকার সেই শিক্ষার্থী দুটি তদন্ত কমিটির কাছে তার বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আজ শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তদন্ত কমিটির সদস্যরা তার বক্তব্য গ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি প্রথমে ওই শিক্ষার্থীর বক্তব্য গ্রহণ করে। আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। সেসময় রেবা মণ্ডল শিক্ষার্থীকে নিয়ে ২ দফায় যে কক্ষে তাকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে সেই কক্ষ পরিদর্শন করেন। ওই কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী থাকতেন।

এরপর হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য পেশ করেন ওই শিক্ষার্থী। আহসানুল হকের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি তার বক্তব্য গ্রহণ করে।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট, হলের হাউজ টিউটর এবং কর্মকর্তারা তদন্ত কমিটিকে সহায়তা করেন।

এ দুটি কমিটিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাৎ হোসেন আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বক্তব্য দানের পর ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশ প্রহরায় তার ইচ্ছা অনুযায়ী কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসময় পুলিশ টিমের সঙ্গে ছিলেন সহকারী প্রক্টর জয়শ্রী সেন।'

তিনি বলেন, 'এরপরও যদি কোনো তদন্ত কমিটি মনে করে যে, ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আরও কথা বলা প্রয়োজন, তাহলে সে ব্যবস্থা করা হবে।'

এদিকে, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ হাতে পাওয়ার পর তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, কমিটি গঠনের দিন থেকে ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসন হাইকোর্টের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।

এর আগে, কঠোর নিরাপত্তায় ওই শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি পুলিশ ভ্যান তাকে নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের শিক্ষার্থী।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, হলে আবাসিকতা না থাকায় ওই শিক্ষার্থী গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরুর দিনে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক আবাসিক ছাত্রীর রুমে উঠেন। এরপর ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি নির্যাতনের শিকার হন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননূর যায়েদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে পুলিশ রাখা হয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

27m ago