জাবি ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যায়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের কলা ও মানবিকী অনুষদভুক্ত 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬ জন পরীক্ষার্থীকে 'বি' ইউনিটের উত্তরপত্র অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রোববার 'সি' ইউনিটের পরীক্ষা শেষে রাতে ওই ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের জন্য ওএমআর মেশিনে উত্তরপত্র প্রবেশ করালে ৬টি 'বি' ইউনিটের উত্তরপত্র পাওয়া যায় এবং 'বি' ইউনিটের আরও ৪৫টি ফাঁকা ওএমআর ফেরত আসে বলে জানা গেছে।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সি' ইউনিটের ওএমআরগুলো স্ক্যান করার সময় 'বি' ইউনিটের ৬টি ওএমআর পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষে ওই কক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো বাড়তি প্রশ্নপত্র এবং ওএমআরগুলোর মধ্যে 'বি' ইউনিটের আরও ৪৫টি ওএমআর খুঁজে পেয়েছি।'
'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় 'বি' ইউনিটের উত্তরপত্র কোনোভাবে পাওয়া যাবার কথা নয় বলে, এ বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমি ঘটনাটি গতকাল রাতে জানতে পারি। কিন্তু এটি আমাকে তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার কক্ষ থেকেই জানানো উচিত ছিল। এটা নিয়ে কাজ করছি। উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা ভুল হয়েছে বলে জেনেছি। তবে আমরা এটা নিশ্চিত করছি যে ওই ৬ শিক্ষার্থীকে ভিক্টিম করা হবে না।'
এ বিষয়ে রিসোর্চ পারসন কমিটির সদস্য ও অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম জানান, 'ওই ৬ শিক্ষার্থীকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। তাছাড়া, শিক্ষার্থীদের ছোটোখাটো অন্যান্য ভুল হয়েছে এমন ৫৮০টির মতো ওএমআর আমরা পেয়েছি। সেগুলোর সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, সেগুলো মূল্যায়ন করা হবে কি না।'
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, 'ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটেছে। তবে এই ঘটনার জন্য 'সি' ইউনিটের ফলাফল তৈরিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।'
উল্লেখ্য, সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'বি' ইউনিটের পরীক্ষা আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
Comments