জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজসহ গ্রেপ্তার ৪ জন ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রধান আসামি মামুনুর রশীদ মামুন ও শিক্ষার্থী মো. মুরাদ এখনো পলাতক রয়েছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ গ্রেপ্তার ৪ জনের ৩ দিন করে রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ রোববার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, বিকেলে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন— জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান।

ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি জানান, ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুন ও শিক্ষার্থী মো. মুরাদ পলাতক রয়েছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামী পূর্বপরিচিত মামুনের সঙ্গে দেখা করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হলে যান। স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে যাবেন বলে জানান। পরে মামুনের কথামতো স্ত্রীকে ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেন। স্বামীর কথামতো ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে মামুন তার স্বামীকে মীর মশাররফ হলের 'এ' ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে স্বামীর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে ধর্ষণ করেন মামুন ও মোস্তাফিজ।

পরে মামুন ও মোস্তাফিজ গ্রেপ্তার তিন জনের সহায়তায় পালিয়ে যান।

আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি চার জনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এর আগেও  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সম্পৃক্ততা আছে।'

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা

 

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank cuts lending rate margin

Bangladesh Bank says ‘reserve heist’ report is fake

It was “absolutely fake” news, Bangladesh Bank spokesman Mezbaul Haque said today.

1h ago