ঢাকা মেডিকেলে লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগের শোডাউন, আবার হামলা

ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আবার হামলা করেছে ছাত্রলীগ।

আজ সোমবার বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের সামনে থাকা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পরে ছাত্রলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে ঢামেকে আহত শিক্ষার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের ভেতরে শোডাউন ও ইটপাটকেল ছোড়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ঢামেকের সামনে লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্রলীগের অবস্থান। ছবি: সিরাজুল ইষলাম রুবেল/স্টার

ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, ছাত্রলীগের একদল কর্মী শহীদ মিনার থেকে মেডিকেলের দিকে আসছিল। মেডিকেলের সামনে শিক্ষার্থীদের জটলা দেখতে পেয়ে তারা ধাওয়া দেয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। ইটের আঘাতে একজন পথচারী আহত হন।

পরে লাঠিসোটা নিয়ে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত মেডিকেলের ভেতরে-বাইরে শোডাউন দিয়েছে ছাত্রলীগ।

ঢামেকের ভেতরে লাঠিসোটা হাতে ছাত্রলীগ। ছবি: সিরাজুল ইষলাম রুবেল/স্টার

পরে ঢামেকের বাইরের রাস্তায় আহতের সঙ্গে আসা একদল শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। পরে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমরা আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। ছাত্রলীগ এখানে এসেও আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা করছে। এমনকি যারা আসছেন হাসপাতালের পথে, তাদেরকেও হামলা করছেন।'

বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৫টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ওই এলাকায় ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মেডিকেলের বাইরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। সেখানে পুলিশের কোনো সদস্য দেখা যাচ্ছে না। 

ঘটনাস্থল থেকে ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, চারজন আনসার সদস্য মেডিকেলের গেটে আছেন। ভেতরে আনুমানিক ২০-২৫ জন আনসার সদস্য আছেন।

সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

7h ago