ঢামেকের জরুরি বিভাগে আড়াই ঘণ্টায় চিকিৎসা নিয়েছেন ১৫৫ জন

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জরুরি বিভাগের ভেতরে আহত অনেক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলছিল।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ। ছবি: মুনতাকিম সাদ/স্টার

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টায় অন্তত ১৫৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঢামেক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভিড় করছেন। যারা সামান্য আঘাত পেয়েছেন, তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। আর যাদের অবস্থা কিছুটা গুরুতর, তাদের জরুরি বিভাগ থেকে অন্য বিভাগে স্থানান্তর করা হচ্ছে। তারা ইটপাটকেল ও লাঠিসোটার আঘাতে আহত হয়েছেন। তবে জরুরি বিভাগে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কতজন আন্দোলনকারী তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জরুরি বিভাগের ভেতরে আহত অনেক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা চলছিল। আর বাইরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, 'আমাদের প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন। আমাদের আন্দোলন দমন করার জন্য ছাত্রলীগ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে।'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে আজ সোমবার দুপুর ১টা থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৩টায় একই স্থানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগ।

পরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভিসি চত্বরের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। সেই সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আহত হন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী প্রবীর দাশ ও প্রথম আলোক আলোকচিত্রী দীপু মালাকার।

ইডেন কলেজেও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সেখানকার আহত চার শিক্ষার্থীকেও ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

Comments