দিনাজপুরে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ৩৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল ও স্থায়ী শাস্তির আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ও হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ। ছবি: মেডিকেল কলেজের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে হত্যাচেষ্টা, র‍্যাগিং, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আজ দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ এফ এম নুরুল্লাহ।

তিনি জানান, তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল ও স্থায়ী শাস্তির আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ও হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

গতকাল অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও র‍্যাগিংয়ের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের হয়রানির সঙ্গে জড়িত থাকার লিখিত অভিযোগ পেয়েছে।

এছাড়া বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কমিটির সামনে হাজির হয়ে তাদের বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত এসব শিক্ষার্থী আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা আবাসিক হলগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের জন্য রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অনেককে র‍্যাগিংয়ের শিকার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিবাদ করায় অনেককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করলেও এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কলেজের অধ্যক্ষ এ এফ এম মেডিকেল কলেজের মেয়র নুরুল্লাহ জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ১১টি লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে।

অধিকতর তদন্তের জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাহাব আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, এরপরই শিক্ষার্থীদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান অধ্যক্ষ।

Comments