কুয়েটে প্রশাসনসহ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে শিক্ষার্থীদের ‘লাল কার্ড’

কুয়েট লাল কার্ড
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনগুলোকে লাল কার্ড দেখায়। ছবি: হাবিবুর রহমান/ স্টার

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়নসহ সব রাজনৈতিক দল এবং কুয়েট প্রশাসনকে লালকার্ড প্রদর্শন করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কুয়েটের দুর্বার বাংলা চত্বরে তারা লাল কার্ড দেখান ও বিভিন্ন স্লোগান দেন। 

একইসঙ্গে তারা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা এই কুয়েটে হবে না', 'নো ছাত্রদল, নো ছাত্রশিবির, নো বৈবিছাআ, অনলি ছাত্র'; 'রক্ত যখন ঝরছিল প্রশাসন তখন কই ছিল?, 'নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই', 'উই ওয়ান্ট নলেজ নো পলিটিকাল ড্যামেজ', 'শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরে প্রশাসন তামাশা করে', 'ছাত্র রাজনীতি রেড কার্ড', 'বহিষ্কার বহিষ্কার জড়িতদের বহিষ্কার', 'দালালি না রাজপথ রাজপথ রাজপথ', 'তুমি কে আমি কে আবরার আবরার, 'আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ', 'দড়ি ধরে মারো টান ভিসি হবে খান খান'- এসব প্ল্যাকার্ডের সঙ্গে স্লোগান দেন।

দুপুরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। ছবি: হাবিবুর রহমান/ স্টার

লালকার্ড দেখানোর সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের যারা জড়িত তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার যে অধ্যাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে সেটাকে পরিবর্তন করে অর্ডিন্যান্স করতে হবে। যাতে কেউ আদালতে গিয়েও ছাত্র রাজনীতি করার অধিকার ফিরে না পায়।

পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিল কুয়েটের বিভিন্ন সড়ক পরিদক্ষিণ করে আবার দুর্বার বাংলায় এসে শেষ হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা জানান, গত মঙ্গলবার কুয়েটের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছয় দফা দাবি দেয়া হলেও কুয়েট প্রশাসন সেটা পূর্ণাঙ্গ রূপে মানেনি। এ ঘটনায় কুয়েটের ভিসি, প্রোভিসি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালককে বর্জন করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কুয়েট প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। যার কারণে তারা নতুন প্রশাসন চায়। শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। সেখানে নতুন ভিসি নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বলা হয়েছে।

আজ বিকেল ৩টায় ছাত্র কল্যাণ কেন্দ্রে আহত শিক্ষার্থীদের ছবি এবং হামলার ঘটনার বিভিন্ন রকমের ফুটেজ পরিদর্শন করা হবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা। 

ছবি: হাবিবুর রহমান

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একজন শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের যে দাবি দাওয়া ছিল তা মেনে নেওয়া হয়নি। আমরা চাই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের যে অধ্যাদেশ আছে সেটাকে পরিবর্তন করে অর্ডিন্যান্স করে হবে। আমাদের ছাত্রশিবির বলে যে ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে তা মিথ্যা ও ফেভরিকেটেড।'

'প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমাদের দাবি, যত দ্রুত নতুন ভিসি নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে,' বলেন তিনি।

এদিকে বুধবার কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধসহ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। খান জাহান আলী থানায় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কুয়েট প্রশাসন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Police: Equipped to inflict heavy casualties

Police arms records show the brutal truth behind the July killings; the force bought 7 times more lethal weapons than non-lethal ones in 2021-23

14h ago