জবি ছাত্রদলের ২ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখার দুই নেতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তরা হলেন—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ বিন হাসিম ও ওমর ফারুক।

সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব প্রান্ত ও তার বন্ধু আনিকা, নিশু, তানভীর ও জোবায়ের মিলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে 'খাওন দাওন' নামে একটি খাবারের দোকান শুরু করেন। ব্যবসা ভালো চললেও পরীক্ষার কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তারা সাময়িকভাবে দোকানটি বন্ধ রাখেন। এই সুযোগে রাশেদ ও ফারুক দোকানের জায়গা দখলের চেষ্টা চালান এবং প্রতিদিন ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

শিহাব প্রান্ত বলেন, 'টিএসসিতে থাকা আমাদের দোকান "খাওন দাওন" পেশীশক্তি ব্যবহার করে দখল করার চেষ্টা করেন ছাত্রদল নেতা রাশেদ ও ফারুক। তারা প্রথমে দৈনিক ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন, তাতে আমরা সম্মত না হলে মঙ্গলবার দুপুরে তারা দোকানের সব মালামাল সরিয়ে ফেলেন।'

'আমরা ইতোমধ্যে দোকানে এক লাখ ৪০ হাজার মতো টাকা খরচ করেছি,' বলেন তিনি।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে ওমর ফারুক বলেন, 'আমরা কোনো চাঁদা চাইনি। ওই ছেলেরা তাদের দোকানের পাশের জায়গা এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছিল। সেই ব্যবসায়ী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। তাই আমরা দোকানটি সংস্কার করে অন্য একজনকে দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে।'

এই দোকান দখলের এখতিয়ার আছে কি না জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, 'এখানে কারও কোনো এখতিয়ার নেই, ওদেরও নেই। আমরা শুধু অন্য কারও জন্য কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা করছিলাম।'

রাশেদের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি আমি শুনেছি। আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।'

জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, 'আমি এ বিষয়ে অবগত নই। তবে যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা আগের দোকানের মালিক ছিলেন, তাদের দোকান ফিরিয়ে দেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

7h ago