জবি শিক্ষক ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ: প্রতিকারহীনতার দুই বছর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে দুই বছর আগে এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানির অভিযোগ দিলেও বিভাগের পক্ষ থেকে সেই শিক্ষকেই এতদিন রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে।
অভিযোগ তুলে নিতে বাধ্য করার চেষ্টাসহ ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে হেনস্তা ও হয়রানি করেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম।
তবে দুই বছর পেরিয়ে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবার পরও কারো বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অবশেষে, দুই বছর পর, গত ১৫ মার্চ আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুর পর (ভিন্ন একটি যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রতিকার না পেয়ে), এই অভিযোগটি আবার সামনে আসে।
এরপর গত ২১ মার্চ, অবন্তিকার মৃত্যুর পাঁচ দিনের মাথায়, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের অভিযুক্ত শিক্ষক ইমকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তাকে রক্ষা করে আসা অধ্যাপক জুনায়েদ হালিমকে বিভাগের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে ইমনের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে ২০২০ এবং ২০২১ সালে ওই শিক্ষার্থী বিভাগের প্রধানকে মৌখিক দেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
উলটো, ২০২১ সালে ওই শিক্ষার্থীকে তার চতুর্থ সেমিস্টারের একটি মিড টার্ম পরীক্ষায় বসতে বাধা দেওয়া হয় বলে ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই ওই বছরের ডিসেম্বরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর যৌন হয়রানি এবং তাকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দেন। এর পরও অভিযোগের বিষয়টিকে আমলে নিয়ে তদন্তের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। একই ধরনের হয়রানির শিকার হয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা আত্মহত্যা করার পরই আবু শাহেদ ইমন ও জুনায়েদ হালিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষকের সাময়িক বহিষ্কারে সন্তুষ্ট হতে পারেননি জানিয়ে ওই শিক্ষার্থী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এতদিন পর সাময়িক বরখাস্ত করা কোনো শাস্তিই হতে পারে না। তাদেরকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হোক।'
তিনি বলেন, ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক বরাবর প্রথম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।
অভিযোগ করার পরপরই, তিনি দেশের নামকরা বেশ কয়েকজন শিল্পী/নির্মাতার কাছ থেকে ফোন কল পেতে শুরু করেন। তারা তাকে অভিযোগ তুলে নিতে ও দেখা করার জন্য নানাভাবে অনুরোধ করতে থাকেন। তবে তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে সম্মত হননি।
অভিযোগ দায়ের করার ঠিক আটদিন পর, ৬ জানুয়ারি ওই শিক্ষার্থীকে বিভাগের অফিসকক্ষে ডাকেন চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিম। সেখানে অন্যান্য শিক্ষকদের পাশাপাশি যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত শিক্ষক ইমনও উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে উপস্থিত সবার সামনেই অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে চাপ দেন। তবে তিনি তাতে রাজি হননি বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।
সেদিনই ওই শিক্ষার্থী তার মাকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য বরাবর আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু সেবারও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এর দুদিন পর রাজবাড়িতে ওই শিক্ষার্থীর গ্রামের বাড়িতে যান অভিযুক্ত ইমন এবং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জুনায়েদ। পর পর দুই দিন ওই শিক্ষার্থীর বাবার সাথে দেখা করেন তারা।
শিক্ষার্থী দাবি অনুযায়ী, এই দুই শিক্ষক গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে যৌন হয়রানির অভিযোগটি প্রত্যাহার করতে চাপ প্রয়োগ করেন। প্রত্যাহার না করলে, মেয়েকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, এমনকি হত্যার ও হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তার বাবা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বলে তিনি অভিযোগে জানান।
এরপর ৯ জানুয়ারি রাজবাড়ী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেই ওই শিক্ষার্থীকে ফোন করেন অধ্যাপক জুনায়েদ। তাকে বলা হয় যত রাতই হোক যেন তিনি দেখা করেন।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও একপ্রকার জোর করেই সেদিন তাকে দেখা করতে বাধ্য করা হয়। সন্ধ্যা ৭টায় তাকে বিবিএ ভবনের নবম তলায় বিভাগের অফিস কক্ষে তাকে একা ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত অন্য আরেকজন শিক্ষকের সামনে অধ্যাপক জুনায়েদ তাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেন।
তবে তিনি এতে অসম্মতি জানিয়ে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে যান বলে এই প্রতিবেদককে জানান।
এর পরদিন, সমস্ত ঘটনার কথা লিখে তিনি আবারও উপাচার্যকে চিঠি দেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেবারও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি।
এতে অবশ্য অধ্যাপক জুনায়েদ থেমে থাকেননি। অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তিনি অনবরত ওই শিক্ষার্থী এবং তার বাবাকে ফোন করে গেছেন।
ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে ওই শিক্ষার্থী দাবি করেন, কোনো উপায় না পেয়ে তিনি ক্যাম্পাসে একাই আন্দোলনে নামেন।
আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২২ মার্চ প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেল এর অধীনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।
তদন্তে যুক্ত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে যায়, তদন্ত চলাকালে তারা নানাভাবে হয়রানির সম্মুখীন হয়েছিলেন। কমিটির সদস্য অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে তাদেরকে বারবার কল করা হতো। ফোনে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হতো। বলা হতো, 'তোরা কিসের তদন্ত করছিস, এই তদন্ত করে কী হবে, এর উদ্দেশ্য কী?'
এ ছাড়া তারা কখন কোথায় যাচ্ছেন, ফোনে তা জিজ্ঞেস করা হতো। এ সব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে বাধ্য হন তদন্তে যুক্ত তিন শিক্ষক।
এত বাধার পরও তদন্ত কমিটি, প্রায় আট মাস পর ২৪ নভেম্বর আবু শাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিতে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন তারা।
প্রতিবেদন জমা পড়ার আট মাস পর, ১ আগস্ট বিভাগের শিক্ষক ইমনকে যৌন হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়।
অভিযোগ আমলে নিয়ে সিন্ডিকেট সভায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর পরও বিভাগের সভাপতি জুনায়েদ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ বিষয়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের তৎকালীন সদস্য অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, 'অনুষদের তৎকালীন ডিনকে দিয়েও অধ্যাপক জুনায়েদকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে তিনি ইমনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেন। তবে তিনি তা করেননি।'
একদিকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, অন্যদিকে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষা কার্যক্রমে নানা বাধা এবং হেনস্তার মুখোমুখি হতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীর অ্যাসাইনমেন্ট ইচ্ছা করে গ্রহণ করেননি অধ্যাপক জুনায়েদ। এর ফলে ওই শিক্ষার্থী সপ্তম এবং অষ্টম সেমিস্টারে অকৃতকার্য হন।
পরবর্তীতে গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বরাবর আরও একটি চিঠি লেখেন ওই শিক্ষার্থী। চিঠিতে তিনি যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে, অভিযোগ দায়ের করার কারণে তাকে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সবই উল্লেখ করেন। এরপর অবন্তিকার আত্মহত্যার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিমপি) গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) একই অভিযোগ করেন তিনি। এর পরদিন তিনি প্রতিকার চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি লিখেন।
সার্বিক বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে যৌন হয়রানির কথা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত শিক্ষক ইমন। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন, কাল্পনিক।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে, অভিযুক্ত আরেক শিক্ষক অধ্যাপক জুনায়েদের সাক্ষাৎকার নিতে সমর্থ হয় দ্য ডেইলি স্টার। অধ্যাপক জুনায়েদ দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।
তিনি বলেন, 'আমি ওই শিক্ষার্থীর এই অভিযোগের ব্যাপারে ২০২০ সালে শুনেছিলাম। সেসময় আমি নিজেই তাকে বলেছিলাম, লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে। যাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়।'
যদি অভিযোগ দায়ের করতে বলে থাকেন, তবে আপনি কেন অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দিলেন? জবাবে তিনি বলেন, 'আমি কোনো চাপ প্রয়োগ করিনি।' তাহলে আপনি কেন ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়েছিলেন? কেন তার বাবার সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন হলো? জবাবে তিনি বলেন, 'আমি স্বেচ্ছায় এটা করিনি। আমার ওপর চাপ ছিল। উপাচার্যের দপ্তর থেকে আমাকে তাগিদ দেওয়া হয়েছিল, ঘটনা যেহেতু আমার বিভাগে, তাই আমি যেন বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে সমাধান করে ফেলি।'
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আপনাকে কেন বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব দিল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই উপাচার্যের দপ্তর থেকে আমায় ডেকে পাঠানো হয়। বলা হয়, ঘটনাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল। এর সঙ্গে আমার বিভাগ তো বটেই বিশ্ববিদ্যালয়েরও সম্মান জড়িত। তাই উপাচার্য নিজে আমাকে বিষয়টি হ্যান্ডেল করতে বলেন।'
তার ভাষ্য, 'এজন্যই আমি রাজবাড়ী গিয়েছিলাম।…আর তাছাড়া তখন রাজবাড়ীতে আমার অন্য একটা কাজও ছিল।'
আলাপের এক পর্যায়ে রাজবাড়ীতে গিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করতে শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে দেখা করার কথাও স্বীকার করেন অধ্যাপক জুনায়েদ।
তিনি বলেন, 'আমি ওই শিক্ষার্থীর বাবার সঙ্গে দেখা করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার ব্যাপারে কথা বলেছিলাম। পরবর্তীতে ইমনের উপস্থিতিতেই তাকে অভিযোগটি প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলেছিলাম।'
তবে সেখানে কাউকে কোনো ভয় দেখানো কিংবা চাপ প্রয়োগ করা হয়নি বলে তিনি দাবি করেন। ভয় দেখানে বা চাপ দেওয়ার উদ্দেশ্য না থাকলে কেন ওই শিক্ষার্থীকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন সন্ধ্যায় ডেকেছিলেন? জবাবে তিনি বলেন, 'তার বাবা, অভিযোগ প্রত্যাহারে রাজি হয়েছিলেন। সেকারণেই তাকে ডাকা হয়েছিল। তবে শিক্ষার্থী অভিযোগ প্রত্যাহার করতে সম্মত হননি। এক্ষেত্রে তাকে কোনো ধরনের চাপ দেওয়া হয়নি।'
এসব ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী এবং তার বাবাকে একাধিকবার ফোন করার কথাও স্বীকার করেন অধ্যাপক জুনায়েদ। তিনি বলেন, 'অভিযোগ প্রত্যাহারে রাজি হয়েও কেন প্রত্যাহার করল না, এটা জানতেই কল করেছিলাম। তবে তারা ফোনে কোনো রেসপন্স করেননি।'
অভিযোগ প্রত্যাহার করাতে ব্যর্থ হয়ে, ওই শিক্ষার্থীকে তার একাডেমিক বিষয়ে কোনো চাপ প্রয়োগ করেছেন কি না, তার অ্যাসাইনমেন্ট প্রত্যাখ্যান করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, 'একজন শিক্ষক হিসেবে আমি এটা কীভাবে করতে পারি? ওই শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে যাওয়ার অনেক পরে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আমি কেন সেটা গ্রহণ করব?'
প্রথমত একজন শিক্ষক, দ্বিতীয়ত বিভাগের সভাপতি হিসেবে কি আপনার শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনায় প্রতিকারে সচেষ্ট হওয়া উচিত ছিল না? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল না? জবাবে তিনি বলেন, 'অভিযোগকারী তো আমার শিক্ষার্থী, লিখিত অভিযোগটা সরাসরি আমার কাছে এলে হয়তো বিষয়টি ভিন্ন হতে পারতো। তবে যেহেতু উপাচার্য বরাবর গেছে, আর আমি তো উপাচার্যের অধীনেই কাজ করি। আমি কী করে তাদের কথার বাইরে যাই?'
Comments