ডাকসু নির্বাচনে ৩ স্তরের নিরাপত্তা, ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে থাকবে সেনাবাহিনী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৮ কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে।
নির্বাচনের সময় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী ও চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মধ্যে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা দিকনির্দেশনা দেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বরাতে রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানান, নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবে। ইতোমধ্যে টহল টিমসহ সংশ্লিষ্ট শাখাগুলো সক্রিয় আছে।
ভোটের দিন ৮ কেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। প্রথম স্তরে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি সদস্য ও প্রক্টরিয়াল টিম। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী 'স্ট্রাইকিং ফোর্স' হিসেবে অবস্থান করবে।
প্রয়োজন অনুযায়ী সেনাবাহিনী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এবং ভোট শেষে ফলাফল প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ভোটকেন্দ্র সেনা সদস্যরা পাহারা দেবে।
সভায় আরও জানানো হয়, ভোট গণনার সময় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
নির্বাচনের ৭ দিন আগ থেকে আবাসিক হলে বহিরাগত কেউ থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহল পরিচালনার মাধ্যমে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। তবে ছাত্রীদের হলগুলোতে কখনোই বহিরাগতরা থাকতে পারেন না।
নির্বাচনের আগের দিন ৮ সেপ্টেম্বর ও নির্বাচনের দিন ৯ সেপ্টেম্বর মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে।
নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পুরোপুরি সিলগালা থাকবে। বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক ও নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্য কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
যেসব শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন, তাদের ভোটদানের জন্য বিভিন্ন রুটে বাসের অতিরিক্ত ট্রিপের ব্যবস্থা করা হবে। এসব বাস নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে।
সভায় ডাকসু ও হল পর্যায়ের সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থীরা অংশ নেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।
Comments