৭১ ও ২৪ এর আদর্শে একাডেমিক রিফর্মেশনের জন্য কাজ করব: নাইম হাসান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জয়ী হলে ১৯৭১ ও ২০২৪ এর আদর্শে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সংস্কারের কাজে মনোযোগ দেবেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী নাইম হাসান।
দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'অপরাজেয় ৭১–অদম্য ২৪' প্যানেলের এই ভিপি প্রার্থী বলেন, 'অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ৭১ নিয়ে একটা বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। ৭১ ও ২৪-কে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে।'
'আমি বলব দুটোই আমাদের জন্য জরুরি। একটি জাতীয় মুক্তির লড়াই, অন্যটি স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্তির লড়াই। আমরা সবাই ২৪ এর আন্দোলনের সাথী। "জুলাই যোদ্ধা" বলে কাউকে আলাদা করার সুযোগ নেই। এখন প্রয়োজন ৭১ ও ২৪ এর আদর্শকে ভিত্তি করে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সংস্কার আনা। আমি ডাকসু নির্বাচনে জয়ী হলে এ কাজটা করতে চাই,' বলেন নাইম।
পরিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীবান্ধব-অন্তর্ভূক্তিমূলক ক্যাম্পাস তৈরি লক্ষ্যে তিন বাম সংগঠন—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের সমন্বয়ে এই প্যানেলটি গঠিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন নাইম হাসান।
বলেন, 'আমরা শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে লড়াই চালিয়ে আসছি। সে কারণে আমি মনে করি শিক্ষার্থীদের বড় সমর্থন পাব ডাকসু নির্বাচনে এবং ৯ সেপ্টেম্বর ভোটের মাধ্যমেই তার ফল দেখা যাবে।'
অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই ভিপি প্রার্থী বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যার শেষ নাই। এখন হাজার সমস্যা নিয়ে আকাশ-কুসুম পরিকল্পনার কথা বলে লাভ নেই। আমি খাদ্য, শিক্ষা, বাসস্থান ও চিকিৎসার মতো মৌলিক চারটি বিষয় নিশ্চিত করতেই কাজ করব। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অধীনে হল ক্যানটিনগুলো পরিচালনার উদ্যোগ নেবো। মেডিকেল সেন্টারকে ২৪ ঘণ্টা কার্যকর করব। এছাড়া প্রতিটি হলে মেডিকেল কর্নার চালুর পাশাপাশি হলপাড়ায় ফার্মেসি স্থাপনে কাজ করব।'
'শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের জায়গা থেকে বলতে পারি, নির্বাচিত হলে আমিই সবার চেয়ে ভালোভাবে ডিল করে অধিকার আদায় করতে পারব। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার যে যোগাযোগ, তা অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে বেশি বলে মনে করি। সে জায়গা থেকে আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন,' বলেন যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষার্থী নাইম হাসান।
তবে, নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। কিছু প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যানার টানালেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ব্যানার অপসারণের ঘটনাকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ারও চেষ্টা হয়েছে।'
Comments