শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত না হওয়া শিক্ষকদের ব্যর্থতা: মাউশি মহাপরিচালক
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, 'শিক্ষার্থীরা খুব একটা শ্রেণিকক্ষে যেতে চায় না। এটি শিক্ষকদের ব্যর্থতা। কারণ, অধিকাংশ শিক্ষকই তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু আমাদের আত্ম-সমালোচনা করা দরকার। আমাদের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।'
আজ শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জে 'বাংলাদেশে কলেজ পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানোর কৌশল' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'মানসম্মত শিক্ষা বাড়াতে এ ধরনের কর্মশালার মাধ্যমে দেশের শিক্ষকদের কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি। আমরা তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পাচ্ছি। আমরা আশা করি, তাদের পরামর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে আনার মাধ্যমে আমরা মানসম্মত উচ্চশিক্ষা নিশ্চিত করতে পারব।'
সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে এই দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে কলেজটির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ। কলেজটির অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এই কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বিভাগের ডিন (ইনচার্জ) প্রফেসর ড. মো. নাছির উদ্দিন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. মনোয়ার হোসেন।
এর আগে দলভিত্তিক আলোচনায়, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতি না থাকার কিছু কারণ এবং সমস্যা সমাধানে কিছু পরামর্শ তুলে ধরেন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা।
শিক্ষার্থীদের কম উপস্থিতির পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সনাতন-আকর্ষণহীন পাঠদান পদ্ধতি, আধুনিক শিক্ষা উপকরণের অনুপস্থিতি, ভারসাম্যহীন ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত এবং শ্রেণিকক্ষের অপর্যাপ্ত সংখ্যা ইত্যাদি।
সমাধানের পরামর্শে ছাত্রমুখী পাঠদান পদ্ধতির সূচনা, ব্যবহার। স্মার্ট বোর্ড এবং আধুনিক শিক্ষার সরঞ্জাম, সুষম শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত, অধিক শ্রেণিকক্ষ সুবিধা এবং বিনামূল্যে পরিবহন সুবিধান কথা বলা হয়।
কর্মশালায় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা জাহানসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি কলেজের অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ ও সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের শিক্ষকরা কর্মশালায় অংশ নেন।
Comments