পিরোজপুরের ৩২ ও ঝালকাঠির ১৩ বিদ্যালয়ে শতভাগ পাস

এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফলাফলে পিরোজপুরের ২৪৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩২টি এবং ঝালকাঠির ১৭২টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টিতে শতভাগ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। 

আজ সোমবার বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এসএসসি-২০২২ এর ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

ফলাফলে দেখা যায়, পিরোজপুরে ২১৬টি বিদ্যালয়ে পাশের হার শতকরা ৫০ ভাগের বেশি এবং মাত্র ১টি বিদ্যালয়ে পাশের হার ২০ ভাগের বেশি। 

ঝালকাঠিতে ১৫৬টি বিদ্যালয়ে পাশের হার ৫০ ভাগের বেশি এবং ৩টি বিদ্যালয়ে পাশের হার ২০ ভাগের বেশি। 

পিরোজপুরে ১১ হাজার ৮৯৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ হাজার ৭১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১০ হাজার ৭৫৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং পাশের হার শতকরা ৯১ দশমিক ৮৩ ভাগ। 

অন্যদিকে ঝালকাঠিতে ৮ হাজার ৩৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮ হাজার ২১৯ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ১৪৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে এবং পাশের হার শতকরা ৮৬ দশমিক ৯৩ ভাগ।

তবে এ দুই জেলায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ছেলে শিক্ষার্থীদের চেয়ে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। পিরোজপুরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১১ হাজার ৭১৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ হাজার ৩০৬ জন মেয়ে। অন্যদিকে ঝালকাঠিতে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৮ হাজার ২১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৩৯ জন মেয়ে।

পিরোজপুরে ৭ মাদ্রাসায় কেউই পাস করেনি

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পিরোজপুরের ৪টি উপজেলার ৭টি মাদ্রাসার কোনো পরীক্ষার্থীই পাস করেনি। এছাড়া আরও ৬টি মাদ্রাসার ফলাফলের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

সবচেয়ে খারাপ ফলাফল মঠবাড়িয়া উপজেলায়। এ উপজেলার তাফালবাড়িয়া হোসাইনিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউই পাস করেনি। এছাড়া আলগী দাখিল বালিকা মাদ্রাসা থেকে ২০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। সেখানেও কেউ পাস করেনি।

বেগম শেখ ফজিলাতুন নেছা মহিলা কামিল মাদ্রাসা থেকে ২১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯ জন অংশ নিয়েছিল এবং তারা সবাই ফেল করেছে। 

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম শরীফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাদ্রাসার সামনের খালে বাধ দেওয়া নিয়ে স্থানীয় এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আছে। এর জেরে স্থানীয় একটি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে আমাদের মাদ্রাসার সব পরীক্ষার্থী গণিতে ফেল করেছে।'

এছাড়া একই উপজেলার হারজি নলবুনিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ১৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ জন পরীক্ষা অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র ৩ জন। আর পাতাকাটা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র ১ জন।

অন্যদিকে মধ্য দেবত্র এন ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে মাত্র ২ জন পরীক্ষার্থী।

এছাড়া মধ্য শৌলা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ জন পাস করেছে। এ মাদ্রাসার সুপার মো. নাসরুল্লাহর দাবি, করোনার কারণে লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটায় মাদ্রাসার ফলাফল এমন হয়েছে।

এদিকে ভান্ডারিয়া উপজেলার দক্ষিণ চড়াইল ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এবং পশ্চিম গোলবুনিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসার ২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন অংশ নিয়ে ফেল করেছে।

অন্যদিকে নেছারাবাদ উপজেলার নেছারাবাদ মুজাদ্দেদীয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে ১ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ফেল করেছে। একই উপজেলার সপ্তগ্রাম সম্মেলনী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে মাত্র ৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ২ জন পাস করেছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলার তাফহিমুল কুরআন দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ১ জন। জহুরা একরাম মহিলা দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২ জন পরীক্ষার্থীর কেউই পাশ করেনি।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

9h ago