নারায়ণগঞ্জে ৩ উপজেলায় নতুন বই পায়নি শিশু শিক্ষার্থীরা
নারায়ণগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের চাহিদার অর্ধেকের বেশি বই এখনও পৌঁছায়নি৷ পাঁচ উপজেলার তিনটিতে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়া যায়নি৷ তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিরও চাহিদার অর্ধেক বই বরাদ্দ এসেছে জেলায়৷
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বলছে, চাহিদা থাকলেও ওই শ্রেণিগুলোর বই এখনও ছাপাখানা থেকে এসে পৌঁছায়নি৷ ফলে বছরের প্রথম দিনে ওইসব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা যায়নি৷
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পহেলা জানুয়ারির বিকেল পর্যন্ত জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী ৫৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বই এখনও ছাপাখানা থেকে আসেনি৷ মাধ্যমিকেরও ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ ছাপা হয়নি৷
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী জানান, ছাপাখানা থেকে বই না আসায় নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর উপজেলা ছাড়া সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেলায় প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির বই বিতরণ করা যায়নি৷ বই পায়নি এই তিন উপজেলার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীরাও৷ তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির চাহিদার অর্ধেকের কম বই এসেছে৷
'তিনটি ছাপাখানায় নারায়ণগঞ্জের বইগুলো ছাপা হয়। কিন্তু কাগজ সংকটের কারণে বই ছাপার কাজ অনেক দেরিতে শুরু হয়। যার ফলে অনেক বই এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের কথা হয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে বাকি বই চলে আসবে।'
মাধ্যমিকের চিত্র কিছুটা ভিন্ন হলেও ১৭ দশমিক ৬১ শতাংশ বইয়ের ঘাটতি রয়েছে৷
জেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জেলায় ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৫২ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭ লাখ ২৬ হাজার ৬১৮ বই পাওয়া গেছে৷ এসব বই ইতোমধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে৷
অন্যদিকে ৪১ লাখ ৪০ হাজার ৭২৫ বইয়ের চাহিদা রয়েছে মাধ্যমিক, দাখিল, এবতেদায়ী, মাধ্যমিক ইংরেজী ভার্সন, এসএসসি ভোকেশনাল, দাখিল ভোকেশনালের শিক্ষার্থীদের জন্য। এর মধ্যে এসে গেছে ৩৪ লাখ ১১ হাজার ২৪৮ বই। বাকি রয়েছে ৭ লাখ ২৯ হাজার ৪৭৭ নতুন বই৷
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, 'যেসব বই এসেছে সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ শুরু হয়েছে৷ চাহিদার বাকি বইগুলোও দ্রুত পৌঁছালে বিতরণ করা হবে৷'
Comments