ইবি ‘উপাচার্যের অডিও ফাঁস’, ছাত্রলীগের আন্দোলন: নিয়োগ বোর্ডের সভা স্থগিত

গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে ফোনালাপের ৩টি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চিকিৎসা কর্মকর্তা, প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক পদের ৩টি নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

আজ রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল অফিসার পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড এবং ১১টায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পদের নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের সভা অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হলো।

এসব নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ, যারা দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ নিয়ে আন্দোলন করছেন, গতকাল শনিবার তারা চাকরির দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তাদের নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী বোর্ডের সভা স্থগিতের দাবি জানান তারা।

এর একদিন পর আজ রোববার নির্বাচনী বোর্ডের সভা স্থগিত করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

'উপাচার্যের' অডিও ফাঁস

গত বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডের আগে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুলে ফোনালাপের ৩টি অডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

'ফারাহ জেবিন' নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে অডিওগুলো পোস্ট করা হয়। এতে এক প্রার্থীকে উপাচার্যের পছন্দের দাবি করে তাকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য পুর্নবিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রশ্ন সরবরাহ করার অভিযোগ করা হয়েছে। ‌এক্ষেত্রে টাকা দিয়ে হলেও উপাচার্য তার পছন্দের প্রার্থীদের আবেদন করতে বলেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

তবে ফোনালাপের অডিওতে উপাচার্যের কণ্ঠসদৃশ ব্যক্তির কথা শোনা গেলেও অপরপক্ষের কথা শোনা যায়নি। তার বলে দেওয়া বিষয়গুলোই নিয়োগ পরীক্ষাতে এসেছিল কি না যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহকারী অধ্যাপক পদে আবেদনকারীরা হলেন ড. মো অলিউর রহমান, মোশারফ হোসেন ও বিউটি মন্ডল। এসময় বোর্ডে সর্বনিম্ন সংখ্যক আসন পূর্ণ না হওয়ায় সেই বোর্ড স্থগিত করা হয়। পরে গত ২ ডিসেম্বর আবারও পুনর্বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি এই নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, যা আজ রোববার স্থগিত করা হয়েছে।

Comments