এডুকেশন ওয়াচের প্রতিবেদন

২০২২ সালে অষ্টম-নবম শ্রেণির ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউশন নিয়েছে

‘আমরা আগের এক প্রতিবেদনে দেখেছি, ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউশন নিচ্ছে।’
স্টার ফাইল ফটো

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অষ্টম ও নবম শ্রেণির প্রায় ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউশন নিয়েছে বলে এডুকেশন ওয়াচের ২০২২ সালের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

আজ শনিবার রাজধানীতে 'পোস্ট-প্যানডেমিক এডুকেশন: রিকভারি অ্যান্ড রিনিউয়াল অব স্কুল এডুকেশন' শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রাইভেট টিউটর বা কোচিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক বেশি ছিল।

তিনি বলেন, 'আমরা আগের এক প্রতিবেদনে দেখেছি, ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউশন নিচ্ছে।'

তবে ঠিক কোন বছরে ৮২ শতাংশের এই তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি কর্মকর্তারা।

এডুকেশন ওয়াচের প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: সংগৃহীত

গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছর অষ্টম শ্রেণির প্রায় ৬৪ শতাংশ ও নবম শ্রেণির ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউশনের জন্য প্রতি মাসে ১ হাজার ১০০ থেকে ৩ হাজার পর্যন্ত টাকা খরচ করেছে।

এতে বলা হয়, প্রাথমিকের ৭৯ শতাংশ ও মাধ্যমিক স্তরের ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ২০২২ সালে তাদের পাঠ ও পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদিত গাইডবই অনুসরণ করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত মাসে বাণিজ্যিক গাইডবই ও নোটবুক কিনতে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা গড়ে ৬৬৯ টাকা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা ২ হাজার ৬৫ টাকা ব্যয় করেছেন।

Comments