চবি ‘ছাত্রলীগ কর্মীর জন্মদিনে না যাওয়ায়’ সাংবাদিককে মারধর

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷
ctg_university_16sep21.jpg

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মীর জন্মদিন উদযাপন অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷

একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রিদওয়ান আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এবং হামলাকারীদের বিচার ও তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। রিদওয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তিনি প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন৷

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল ছাত্রলীগ কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী  নাহিদুল ইসলামের জন্মদিন ছিল। সে উপলক্ষে বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা কেক কাটার আয়োজন করেন৷ রাত ১১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা এ এফ রহমান হলের সামনে জড়ো হন৷ তাদের মধ্যে কয়েকজন রিদওয়ানকে ওই আয়োজনে অংশ নিতে বলেন৷ রিদওয়ান এ এফ রহমান হলের ২১২ নম্বর কক্ষে থাকেন৷

রিদওয়ান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেক কাটার অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ায় আমাকে মারধর করা হয়েছে৷'

তিনি বলেন, 'রাত ১১টার দিকে লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয়বর্ষের শিক্ষার্থী আরশিল আজিম, একই বর্ষের নাট্যকলা বিভাগের আবু বকর সিদ্দিক ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয়বর্ষের শোয়েব আতিক আমার কক্ষে আসেন এবং অনুষ্ঠানে কেন যাইনি জানতে চান৷'

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রিদওয়ান আরও বলেন, 'ছাত্রলীগের ওই ৩ কর্মীর মধ্যে আরশিল আজিম আমাকে বলেন, তুই যে ছাত্রলীগের ফাংশনে যাস না, তোকে মারলে তখন কে দেখবে? তখন আমি বলি, আমাকে কেন মারবে! আমি তো কোনো অন্যায় করিনি। আরশিল তখন আতিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই ওরে মার। নির্দেশ পেয়ে আতিক আমাকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় দেন৷'

'মারধর করার পরে তারা রাতেই আমাকে হল ছেড়ে চলে যেতে বলেন,' অভিযোগ করেন রিদওয়ান।

এ বিষয়ে জানতে আতিক ও আরশিলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি৷ এসএমএস দিয়েও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

গতকাল এক সাংবাদিককে মারধর ও হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেখানে আপনি উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু বকর বলেন, 'আমি সঙ্গে ছিলাম ঠিকই কিন্তু মারধর কিংবা কোনো হুমকি দেইনি। এসব শোয়েব ও আরশিল করেছে।'

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক বলেন, 'সাংবাদিক কেন, সাধারণ শিক্ষার্থীকেও মারধরের অধিকার কারো নেই৷ যারা মারধরের ঘটনায় জড়িত তারা কেউই ছাত্রলীগের পদে নেই৷ তাই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।  তবে আগামীতে যেন তারা ছাত্রলীগের কোনো পদে না আসেন, সে বিষয়টি দেখা হবে৷ আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে সেটাই চাই।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, 'এ ঘটনায় ইতোমধ্যে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ভুক্তভোগীর সঙ্গেও কথা হয়েছে৷ বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷'

Comments

The Daily Star  | English

BNP's Dholaikhal rally begins

Hundreds of party leaders, supporters and activists had already arrived at the rally venue around 1:30pm, wearing colourful caps, carrying placards and posters, and chanting anti-government slogans

11m ago