ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের পদচারণায় মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা,
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের অপেক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে হাজারো ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী। ছবি: সিরাজুল ইসলাম রুবেল/স্টার

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে যোগ দিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকেই আসতে শুরু করেছে সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা৷

সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রলীগের সম্মেলন শুরু হবে৷ সম্মেলনটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর আয়োজিত ছাত্রলীগের এই সম্মেলনের বিষয়ে সংগঠনটির সূত্র জানিয়েছে, করোনা মহামারির কারণে সম্মেলন করতে দেরি হয়েছে।

সম্মেলন উপলক্ষে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেছে৷ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত নেতা-কর্মীরা মাথায় রঙ-বেরঙের ক্যাপ ও টুপি পরে দলে দলে সম্মেলনস্থলেও দিকে আসছেন।

পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে৷ এসব ব্যানারের বেশিরভাগই বিভিন্ন পদপ্রার্থীদের। এ ছাড়াও, বর্তমান নেতা-কর্মীদের ব্যানারও চোখে পড়েছে।

আজ সকাল ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার৷ তিনি ছাত্রলীগের একমাত্র সাংগঠনিক অভিভাবক৷ তিনি উপস্থিত হলে সম্মেলনের উৎসবমুখর পরিবেশ আরও বেশি দৃশ্যমান হবে বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা৷

হাজারো মানুষের সমাগমের মধ্যে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করতে হচ্ছে নেতা-কর্মীদের৷ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ মুখে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে৷ সেখানে এসএসএফ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সবাইকে তল্লাশি করে মাঠে ঢুকতে দিচ্ছেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের অপেক্ষায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছবি: সিরাজুল ইসলাম রুবেল/স্টার

মোবাইল ও মানিব্যাগ ছাড়া অন্য কোনো ধরনের জিনিস সঙ্গে নিয়ে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেট দিয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা জেলা উত্তর, রাজশাহী বিভাগ, রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের৷

পাবনা থেকে সম্মেলনে এসেছেন আটঘরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা৷ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল রাতেই তিনি পাবনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।

দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা মাথায় রঙ-বেরঙের ক্যাপ ও গেঞ্জি পরে দলে দলে সম্মেলনস্থলের দিকে আসছেন।। ছবি: সিরাজুল ইসলাম রুবেল/স্টার

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের মঞ্চের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে৷ সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অনেক দিন পর সম্মেলন হচ্ছে৷ যোগ দিতে পেরে খুবই ভালো লাগছে৷ উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে৷ ছাত্রলীগ আমাদের আবেগের জায়গা৷ প্রধানমন্ত্রী আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক। একটু পর প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে পাব। এটা অনেক বেশি আনন্দের৷'

তবে, আনন্দের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করে সোহেল রানা বলেন, 'সম্মেলনের আগে চিঠি কমিটি হচ্ছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, যাদের ওয়ার্ডের নেতা হওয়ার যোগ্যতা নেই, তারাও কেন্দ্রীয় কমিটির পদ পাচ্ছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

A budget without illusions

In a year stripped of spectacle, interim govt set to deliver an outlay shaped by restraint, realism and possibly, reform

9h ago