জাবি

গেস্টরুম ও পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন সময়ে গেস্টরুম ও পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে না থাকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও মানসিকভাবে নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে আজ রোববার হল প্রভোস্ট বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাকিবুল ইসলাম।

অভিযুক্তরা হলেন, জুনায়েদ হাসান রানা, নাইমুল ইসলাম, আতিক শাহরিয়ার, মোহতাছিম বিল্লাহ, উৎস ও কাব্য, জুনায়েদ ইভান, ইমরান মির্জা ও সৈকত ইসলাম। তারা সবাই বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ছাত্রলীগ কর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে ওই শিক্ষার্থী জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে প্রেসিডেন্ট ব্লক এর ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সিনিয়ররা পরের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের তাদের রুম ২১৯ এ যেতে বলেন। সেখানে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। অন্যান্য বন্ধুদের রুমে কান ধরে বসিয়ে রাখেন। আমাকে ডেকে নিয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে গেস্টরুমে কেন আসিনি, পলিটিক্যাল প্রোগ্রামে কেন ছিলাম না। আমি কারণ উল্লেখ করলে তারা রেগে যান, অকথ্যভাষায় গালি দিতে থাকেন এবং হল ত্যাগ করতে বলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, 'আমি হল ছাড়তে অস্বীকার করলে একপর্যায়ে তারা আমাকে নির্বিচারে মারধর করে। আমি ওই রাতেই প্রভোস্টকে বিষযটি মোবাইল ফোনে জানাই ও নিরাপত্তা চাই।' 

এ বিষয়ে ওই হলের এক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী জানান, 'রাত দুইটার দিকে ওকে রুমে ডেকে নিয়েছিল। প্রথমে শাসায় পরে দেখি রুমের বাইরে কয়েকজন বড়ভাই মিলে দরজার বাইরে ২১৯ এর সামনে ওকে মারছে। আতিক, রানাসহ অন্যরা মেরেছিল।'

জানতে চাইলে অভিযুক্ত জুনায়েদ হাসান রানা বলেন, এরকম কিছু হয়নি। এক বন্ধুকে তার রুম থেকে বের করে দেওয়ায় আমরা সিনিয়ররা ডেকে জিজ্ঞেস করেছি।'

জাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, 'ছাত্রলীগ সবসময় র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে। তদন্ত করে প্রমাণসাপেক্ষে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ বিষয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার  ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছেলেটি সেদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আমাকে ফোন দেয়। আমি তাকে সকালে হলে দেখা করতে বলি। অভিযোগপত্র আজকে পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

5h ago