গবেষণায় ‘চুরি’ ধরতে ঢাবিতে সফটওয়্যার চালু

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা ভাষায় প্রকাশিত গবেষণায় 'চুরি' ধরতে সফটওয়্যার চালু করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সফওয়্যারটির সহায়তায় শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্টের চৌর্যবৃত্তিও শনাক্ত করা যাবে। 

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বাংলা টেক্সট সিমিলারিটি নির্ণয়ের এ সফটওয়্যারটি উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। 

গবেষণাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে চৌর্যবৃত্তি ধরার সহযোগী সিমিলারিটি ইনডেক্স নির্ণয়কারী সফওয়্যারটির নাম দেওয়া হয়েছে ডিইউবিড২১। 

সফটওয়্যারটি উদ্ভাবনে নেতৃত্বে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য-প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সাত্তার। 

ছবি: সংগৃহীত

জানা গেছে, প্রাইমারি সোর্স হিসেবে ডিইউবিডি২১ নামের এই সফটওয়্যারটিতে বাংলা ভাষায় লিখিত বিভিন্ন গবেষণা নিবন্ধ, অ্যাসাইনমেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সেক্ষেত্রে উইকিপিডিয়াসহ বিভিন্ন গবেষণা জার্নালকে ব্যবহার করা হবে। পরে নতুন কোনো গবেষণার সিমিলারিটি ইনডেক্স নির্ণয়ের জন্য সফটওয়্যারে ইনপুট করা হলে সফটওয়্যার নতুন লেখার কত শতাংশ আগের লেখাগুলোর সঙ্গে মিলে তা নির্ণয় করবে। এর মাধ্যমে বাংলায় রচিত এমফিল ও পিএইচডি থিসিস, জার্নাল, প্রবন্ধ, নিবন্ধ, শিক্ষার্থীদের থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্টসহ সংশ্লিষ্ট গবেষণা পত্রের তথ্যসূত্রও যাচাই করা যাবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক আবদুস সাত্তার বলেন, 'এই সফটওয়্যারটিতে আরও কাজ করা হবে। প্রাইমারি সোর্স অন্তর্ভুক্ত করাসহ এতে বিভিন্ন সংযোজন করতে হবে। তারপর নীতিমালার আলোকে আমরা এটিকে বাণিজ্যিকভাবে চালু করবো।' 

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, 'এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ অর্জন। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।' এ ধরনের মৌলিক উদ্ভাবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নেও এর প্রভাব পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য।  

উপাচার্য আরও বলেন, 'এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষকরা পূর্বে প্রকাশিত সমধর্মী কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন। একইসঙ্গে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা মৌলিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবেন।'

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago