সিরাজগঞ্জে বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, পানিবন্দি লক্ষাধিক মানুষ

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, প্লাবিত হয়েছে জেলার ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এর ফলে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।
সিরাজগঞ্জের বাধের বাইরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ছবি: স্টার

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, প্লাবিত হয়েছে জেলার ৫ উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এর ফলে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এসব এলাকার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আসামের ঢলে উজানের পানিতে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে গত কয়েকদিন ধরেই পানি বাড়ছে। আজ শনিবার সকালে যমুনা নদীর পানি কাজিপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ দুপুরে যমুনার পানি কাজিপুর পয়েন্টে ১৫ দশমিক ২৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছিল, যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার উপরে।'

তিনি আরও বলেন, 'সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।'

উজানের পানির চাপে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বাড়ছে যমুনায়। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের অভ্যন্তরীণ ফুলজর, ইছামতি, করতোয়া, বড়ালসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এতে করে সিরাজগঞ্জের বাধের বাইরের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে জানান নাসির উদ্দিন।

ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, চৌহালি, বেলকুচি ও শাহজাদপুর উপজেলার ২০টি চরাঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

আগামী ২২ জুন পর্যন্ত পানি বাড়তে পারে, তবে বাধের ভেতরে পানি ঢোকার আশঙ্কা নেই বলেও জানান তিনি।

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলায় ১২৭টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে, তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।'

Comments