দিনভর সিউলের রাস্তায় ঘুরে বেড়ালো জেব্রা

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩ বছর বয়সী ‘সেরো’ নামের জেব্রাটি সিউলের গোয়াংজিন জেলায় ব্যস্ত ট্রাফিকের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও, গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অপ্রস্বস্ত গলি ও ‘জেব্রা ক্রসিং’ এর ওপর দিয়ে জেব্রাটিকে হেঁটে যেতেও দেখেছেন অনেকে।
সিউলের রাস্তায় দিনঘর ঘুরে বেড়ায় জেব্রা 'সেরো'। ছবি: দক্ষিণ কোরীয় গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত
সিউলের রাস্তায় দিনঘর ঘুরে বেড়ায় জেব্রা 'সেরো'। ছবি: দক্ষিণ কোরীয় গণমাধ্যম থেকে সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের সড়কে দিনভর ঘুরে বেড়িয়েছে ১টি পুরুষ প্রজাতির জেব্রা। জেব্রাটি দীর্ঘ সময় ধরে ব্যস্ত সড়ক ও অলিগলিতে অবাধে ঘুরে বেড়ানোর পর অবশেষে তাকে ঘুম পাড়িয়ে চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়।

আজ শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ৩ বছর বয়সী 'সেরো' নামের জেব্রাটি সিউলের গোয়াংজিন জেলায় ব্যস্ত ট্রাফিকের মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়াও, গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অপ্রস্বস্ত গলি ও 'জেব্রা ক্রসিং' এর ওপর দিয়ে জেব্রাটিকে হেঁটে যেতেও দেখেছেন অনেকে।

তবে জেব্রাটি কোনো আগ্রাসী ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়নি।

পরবর্তীতে দমকলবাহিনীর কর্মকর্তারা জেব্রাটিকে ১টি গলিতে নিয়ে যেয়ে ট্র্যাংকুইলাজারের প্রয়োগে ঘুম পাড়ান। পরে তাকে সিউলের পূর্বাঞ্চলের চিলড্রেন্স গ্র্যান্ড পার্ক চিড়িয়াখানায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

দমকলবাহিনী জানিয়েছে, তারা বিকেল পৌনে ৪টার দিকে পলাতক জেব্রার বিষয়ে জানতে পারেন।  

দমকল বাহিনীর সদস্যরা জেব্রার কাছে এসে পৌঁছালে সেটি বিপরীত দিকে দৌড় দেয়। দমকল বাহিনীর ১ কর্মকর্তা সিএনএনকে এ তথ্য জানায়।

এরপর কর্মকর্তারা ১টি সংকীর্ণ গলির শেষ মাথায় নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে জেব্রার পালিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করেন।

কর্মকর্তা আরও জানান, চিড়িয়াখানা কতৃপক্ষের অনুরোধে তারা চেতনানাশক উপকরণ ব্যবহার করেননি।

জেব্রাটির পালানোর পথ রুদ্ধ করার ৩০ মিনিট পর চিড়িয়াখানার ১টি দল এসে জেব্রাটিকে পেশী শিথিলকারী ৭টি ইঞ্জেকশন দেয়। ১ পর্যায়ে ঘুমিয়ে পড়ে সেরো।

সন্ধ্যা ৬টায় সেরোকে চিড়িয়াখানাগামী গাড়িতে তুলে দিয়ে কর্মকর্তারা এই অভিনব অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

একই চিড়িয়াখানার বাসিন্দা সেরোর বাবা ও মা উভয়ই গত বছর অসুস্থ হয়ে মারা যায়। চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা কিম জায়ে-ইউন সিএনএনকে জানান, 'এ ঘটনার পর থেকেই সেরোর মাঝে আমরা বিদ্রোহী মনোভাব দেখতে পাচ্ছি।'

'সে পাশের খাঁচার বাসিন্দা ১টি ক্যঙ্গারুর সঙ্গে মারামারি করার চেষ্টা চালায়', যোগ করেন তিনি।

২০০৫ সালে একই চিড়িয়াখানা থেকে ৬টি হাতি পালিয়েছিল। তারা ১ রেস্তোরাঁ ও স্কুলে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় ১ নারী আহত হন।

এই চিড়িয়াখানাটিতে সিংহ, জিরাফ, ডলফিন ও বিরল প্রজাতির পাখিসহ প্রায় ৩৫০ প্রজাতির ৩ হাজার প্রাণী আছে।

 

Comments