পরিবহন খাতে নৈরাজ্য ঠেকাতে সিএনজির দাম বাড়ানো হয়নি: বিইআরসি

গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও, সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ায়নি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
গ্যাস
প্রতীকী ছবি | সংগৃহীত

গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সব পর্যায়ের গ্রাহকদের জন্য গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হলেও, সিএনজি গ্যাসের দাম বাড়ায়নি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।

আজ রোববার বিইআরসির এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষিত গ্যাসের নতুন মূল্যহার ঘোষণার সময় বলা হয়, সিএনজি গ্যাসের আগের মূল্যই বহাল থাকবে। অর্থাৎ প্রতি ঘনমিটারের দাম ৪৩ টাকাই থাকবে।

দাম ঘোষণার সময় বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু ফারুক বলেন, 'সবসময় দেখা যায়, জ্বালানির মূল্য বাড়ালে পরিবহন সেক্টরে এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। এবার পরিবহন খাতে যাতে কোনো নৈরাজ্য, অসংগতি, অসম প্রতিযোগিতা বা অনিয়ম না হয়, সেজন্য এই খাতের গ্যাসের দাম অপরিবর্তিত থাকবে।'

বিইআরসির সদস্য মকবুল ই এলাহী চৌধুরী বলেন, 'সিএনজির গ্যাসের দাম আগে থেকেই একটু বেশি। তা ছাড়া, সিএনজি পাম্প মালিকদের পক্ষ থেকেও এই গ্যাসের দাম না বাড়ানোর সুপারিশ ছিল। কমিশন সেটি বিবেচনায় নিয়েছে।'

নতুন ঘোষিত মূল্য তালিকায় প্রতি ঘন মিটারে গ্যাসের দাম ৯ টাকা ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে ১১ টাকা ৯১ পয়সায় দাঁড়াবে।

আবাসিক খাতে ১ চুলার গ্যাসের দাম প্রতি মাসে ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা এবং ২ চুলার ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। চলতি মাসের বিল দেওয়ার সময় নতুন মূল্য তালিকায় বিল দিতে হবে।

এ ছাড়া, সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, আইপিপি ও রেন্টাল খাতে গ্যাসের দাম ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে ১২ দশমিক ৮১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ০২ টাকা। ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্টের গ্যাসের দাম ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা থেকে ১৫ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে ১৬ টাকা, সার কারখানায় গ্যাসের দাম ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে ২৫৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেড়ে ১৬ টাকা হয়েছে। বৃহৎ ও মাঝারি শিল্প খাতে যথাক্রমে ১১ দশমিক ৯৬ ও ১০ দশমিক ০৯ শতাংশ দাম বেড়েছে। চা শিল্পে দাম ১০ দশমিক ৭০ টাকা থেকে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে ১১ দশমিক ৯৩ টাকা হয়েছে।

হোটেল, রে্স্টুরেন্টসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে ২৩ টাকা হয়েছে।

শুধু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম কমেছে ৩৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগে তাদের প্রতি ঘনমিটার ১৭ দশমিক ০৪ টাকা দিতে হলেও এখন দিতে হবে ১০ দশমিক ৭৮ টাকা।

গৃহস্থালিতে যারা প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করেন, তাদের আগে প্রতি ঘনমিটার ১২ দশমিক ৬০ টাকা দিতে হলেও এখন দিতে হবে ১৮ টাকা, যা ৪২ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

2h ago