পর্দা উঠল আইসিটি অলিম্পিয়াডের, ওয়েবসাইট উদ্বোধন করলেন মাশরাফি

আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের পর্দা উঠল এবার। রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন হলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।   
পর্দা উঠল আইসিটি অলিম্পিয়াডের, ওয়েবসাইট উদ্বোধন করলেন মাশরাফি
ছবি: সংগৃহীত

আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের পর্দা উঠল এবার। রাজধানীর কেআইবি কনভেনশন হলে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়।   

সেইসঙ্গে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের উদ্বোধন ঘোষণা করেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা।    

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ ধরে তার সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করছেন। বাংলাদেশের তরুণদের যাতে বিশ্বমানের আইটি জ্ঞান সমৃদ্ধ করা যায়, সে ব্যাপারে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ অনেক বেশি প্রয়াস রাখবে বলে আমি আশাবাদী।'

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন দেশের আইসিটি, শিক্ষা ও গবেষণা সেক্টরের বিশিষ্টজনরা। ছিলেন ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এটুআই প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মো. হুমায়ূন কবির, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন, উই  প্রেসিডেন্ট সিমা আক্তার নিশা, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার প্রমুখ।

ক্রিয়েটিভ আইটি ইন্সটিটিউট ও হুইসেলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার নলেজ পার্টনার হিসেবে সংযুক্ত আছে ই-লার্নিং প্রতিষ্ঠান ব্রাইট স্কিলস। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা মোট ৬টি ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন, যাতে সর্বমোট প্রাইজমানি থাকছে ৫০ লাখ টাকা।

আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গভর্নিং বডির সদস্য মনির হোসেন বলেন, 'প্রি-স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় (৩৫ বছর বয়স) পর্যন্ত আইসিটি শিক্ষাকে জনপ্রিয় করে তুলতে আমাদের এই আয়োজন।'

গভর্নিং বডির আরেক সদস্য মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, 'চতুর্থ শিল্প-বিপ্লবে আমাদের শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী করার জন্য এই প্রতিযোগিতাটি মাইলকফলক হয়ে থাকবে বলে আমাদের বিশ্বাস।'

এ ছাড়া, এই প্রতিযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকছে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের বুথ।

 প্রতিযোগিতাটিতে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গভর্নিং বডির অন্যতম সদস্য আশরাফুল ইনসান ইভান।

প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করার পর থেকে ৫ মাস পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা দক্ষ মেন্টরদের মাধ্যমে নিজেদের আইসিটি জ্ঞানকে প্রসারিত করে নিতে পারবেন। আইসিটি খাতে বিশ্বমানের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে থাকেন, সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ আয়োজিত হচ্ছে বলে জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত আয়োজকরা।

Comments