মাশরাফিকে নিয়ে প্রশ্নে কৌতুকপূর্ণ উত্তর হাথুরুসিংহের

Chandika Hathurusingha and Mashrafe Mortaza
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশের জার্সিতে সবশেষ খেলেছেন ২০২০ সালে। অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তিনি আর বিবেচিত হননি জাতীয় দলের জন্য। তাকে নিয়ে পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে কৌতুকপূর্ণ জবাব দিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুসিংহে বাংলাদেশের প্রধান কোচ হয়েছেন দুই বছরের জন্য। গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে তার দায়িত্বের মেয়াদ। তিনি বাংলাদেশে পা রাখেন গত সোমবার রাতে। পরদিন মাঠে এসে তার চেনা-অচেনা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ছিল হাথুরুসিংহের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। সেখানে বেশ মোলায়েম স্বরে পাওয়া যায় শ্রীলঙ্কান এই কোচকে। শেষদিকে 'কড়া হেডমাস্টার' তকমার কিছুটা ছাপ দেখানোর আগে খোশ মেজাজে ছিলেন তিনি।

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ দলের বাইরে থাকা মাশরাফিকে নিয়ে পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হাথুরুসিংহে পাল্টা প্রশ্ন করেন, 'নির্বাচনের জন্য (হাসি)?'

মূলত, মাশরাফির সংসদ সদস্যের ভূমিকার দিকে ইঙ্গিত করেন হাথুরুসিংহে। এরপর তিনি যোগ করেন, 'আমার মনে হয়, সে আর (জাতীয় দলে) খেলছে না।'

হাথুরুসিংহে প্রথম দফায় বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলেন ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত। মাশরাফি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে যান তার ওই মেয়াদেই। ২০১৭ সালে আচমকা সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন 'নড়াইল এক্সপ্রেস' খ্যাত পেসার।

২০০৯ সালে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ক্যারিয়ারজুড়ে চোটের সঙ্গে লড়াই করা মাশরাফি। টি-টোয়েন্টিকে বিদায় জানানোর পর তিনি খেলছিলেন কেবল ওয়ানডেতে। তবে গত তিন বছর সেই সংস্করণেও আর তাকে বিবেচনা করেননি নির্বাচকরা।

দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও ৩৯ পেরোনো মাশরাফি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা এখনও দেননি। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সবশেষ বিপিএলে কিছুদিন আগে তার নেতৃত্বে ফাইনাল খেলেছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স।

Comments

The Daily Star  | English

Opening aid corridors, leasing out ports not this govt’s job

Making decisions on a “humanitarian corridor” to Rakhine and leasing out container terminal of Chittagong Port to foreign companies are not the interim government’s job, said BNP acting chairman Tarique Rahman last night.

3h ago