পশ্চিমবঙ্গে স্থলবন্দরগুলোতে আটকে আছে ৬ হাজার গমের ট্রাক
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2022/04/01/lalmonirhat_wheat_farming-04.jpg?itok=lKl6U3Zj×tamp=1654607358)
প্রায় ৩ সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থলবন্দরে বাংলাদেশের জন্য গম বহনকারী অন্তত ৬ হাজার ট্রাক আটকে আছে।
সূত্র জানায়, দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডকে (ডিজিএফটি) গমের চালানের ঋণপত্র কঠোরভাবে পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়ায় ট্রাকগুলো ছাড়া হচ্ছে না।
কর্মকর্তারা জানান, গত ১৩ মে গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের পর বেশ কয়েকটি বেসরকারি রপ্তানিকারক নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ঋণপত্রের তারিখ পিছিয়ে রপ্তানির চেষ্টা করছে, এমন খবর পেয়ে চালানের কাগজপত্র কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, কলকাতা বন্দরে প্রায় ৬ হাজার ট্রাক, ১০-১২টি রেলওয়ে রেক এবং ১০-১২টি বার্জ আটকে আছে।
মার্চ-এপ্রিল মাসে মারাত্মক তাপপ্রবাহের কারণে গম উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ পণ্য রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার।
নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় বলা হয়, ১৩ মে'র আগে যেসব ঋণপত্র ইস্যু করা হয়েছিল, সেসব রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পরে জানায়, রপ্তানিকারকদের একটি অংশ ঋণপত্রের তারিখ পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল।
পশ্চিমবঙ্গ রপ্তানিকারক সমন্বয় কমিটির (ডব্লিউবিইসিসি) সাধারণ সম্পাদক উজ্জল সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মালদহ জেলার মহাদিপুর স্থলবন্দরে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন গম আটকে আছে।'
'এই চালানগুলোর জন্য বাংলাদেশি আমদানিকারকরা ১৩ মে'র আগে মূল্য পরিশোধ করেছেন, বলেন তিনি।
মালদহভিত্তিক এক রপ্তানিকারক জানান, গত ১৩ মে থেকে প্রায় ৪ লাখ টন গম বাংলাদেশ সীমান্তে আটকে আছে।
কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরেও একই অবস্থার কথা জানা গেছে।
চ্যাংরাবান্ধা রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি বিমল কুমার ঘোষ ডেইলি স্টারকে জানান, ১২ মে থেকে সীমান্তে প্রায় দেড় হাজার গম বোঝাই ট্রাক আটকে আছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে। এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো থেকে ঋণপত্রও ইস্যু করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আগে রপ্তানির আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত হয়েছিল। প্রতিটি চালানের কাগজ পরীক্ষা করা হলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।'
তিনি আরও বলেন, 'ইতোমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এবং ঘন বর্ষণের কারণে বস্তায় পানি ঢুকে গমের ক্ষতি করছে। বর্ষায় গম নষ্ট হলে আমাদের বিশাল ক্ষতি হবে।'
Comments