আশকোনা জঙ্গিবিরোধী অভিযান

১৪ বছরের কিশোরের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন

রাজধানীর দক্ষিণ খানে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহত ১৪ বছরের আফিফ কাদরীর শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
শনিবার পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযান “রিপল টোয়েন্টিফোর” শেষে আশকোনা থেকে অ্যাম্বুলেন্স বের হয়ে আসে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

রাজধানীর দক্ষিণ খানে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে নিহত ১৪ বছরের আফিফ কাদরীর শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।

ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “তার (কাদরীর) শরীরে অনেকগুলো গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীর থেকে একটি গুলি বের করা হয়েছে।”

আফিফ কাদরীর পিতা তানভীর “নব্য জেএমবি” নেতা ছিলেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানকালে তিনি আত্মহত্যা করেন।

অপর একজন সন্দেহভাজন নারী জঙ্গি শাকিরা আশকোনা অভিযানের সময় নিজের শরীরে বাঁধা সুইসাইড ভেস্ট বিস্ফোরণ ঘটান। এতে মারাত্মকভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা চার বছরের শিশু সাবিনা ও অপর একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।

লাউড স্পিকারে বার বার ঘোষণা দেওয়ার পরও আত্মসমর্পণ না করে আফিফ ওরফে আদর ওরফে আবির পুলিশকে লক্ষ্য করে নিচতলার তিন-রুমের ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে গুলি ছোঁড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ও গ্যাস গ্রেনেড ছোঁড়ে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আফিফ পুলিশি অভিযান চলাকালে বেলা আড়াইটার সময় নিহত হয়। গত রাতে আফিফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়াও, অভিযানের সময় নিহত মেজর (অবঃ) জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা এবং “নব্য জেএমবি” নেতা মায়নুল মুসার স্ত্রী তৃষা দুই শিশুসহ আত্মসর্মপণ করেন।

Click here to read the English version of this news

Comments